গোটা দেশকে এক ছাদের নিচে আনতে শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’
সারা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পর্যটনসহ সব ধরনের পণ্য ও সেবাকে এক ছাদের নিচে আনতে শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’।
‘ট্যুরিজম অ্যান্ড গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট (পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ)’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৩। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এ উৎসবে এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। অংশগ্রহণ করবে বিভিন্ন জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারীরা। দেশব্যাপী পর্যটনের বিভিন্ন অফার ও আয়োজন থাকবে এ উৎসবে। দর্শনার্থীদের আগামীর বাংলাদেশে তাদের আকর্ষণীয় ট্যুর প্ল্যান তৈরি করতে এ উৎসব সহায়তা করবে। এ উৎসবে আয়োজন থাকবে বিভিন্ন দেশের খাবারসহ বাংলাদেশের অথেন্টিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের।
আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাকীর্তি, পর্যটন সম্পদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি জেলার পর্যটন আকর্ষণীয় ছবি দেখার সুযোগ পাবেন। দেশিবিদেশি ইউনিক ও অথেন্টিক খাবার সম্পর্কে জানার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকবে উৎসবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে চা পর্যটন, পর্যটক ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা, আবাসন, পরিবহন, ডাটা ইনোভেশন, এসডিজি ও পর্যটন, পর্যটনে বিনিয়োগ সম্ভাবনা, পর্যটন খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে গম্ভীরা, গাজী কালুর পট, পথনাট্য, বাউল গান, পুথি পাঠ, কাওয়ালি ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের এ উদ্যোগ প্রতি বছর নিয়মিত একই সময়ে একই স্থানে করার জন্য পরিকল্পনা করছে। এ উৎসব হবে একটি প্লাটফর্ম, যেখান থেকে বাংলাদেশের সব পর্যটন আকর্ষণ দেখার সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশের সব ঐতিহ্যকে যেমন উপস্থাপন করবে তেমনি অপরূপ এই বাংলার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ানোর সব সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরবে বলে জানান সিইও।
/এআর/এসএসএইচ/