আসিফ আকবর
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম দিয়ে আসিফ আকবর পরিচিত পান ২০০১ সালে। শুধুই পরিচিতি নয়। প্রথম অ্যালবাম দিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি করেন তিনি। বাংলাদেশের অডিও ইতিহাসে শীর্ষ ব্যবসা সফল অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’। প্রায় ৬০ লক্ষ কপি বিক্রি হয় অ্যালবামটি।
অনিশ্চয়তায় কারণে শহর ছাড়তে চেয়েছিলেন আসিফ আকবর। প্রথম অ্যালবামের জনপ্রিয়তার পর পিছু ফিরতে হয়নি তাকে। ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত একাধিক অ্যালবাম প্রকাশ করেন আসিফ আকবর। এরমধ্যে বেশিরভাগ সময় তার অ্যালবাম সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করে। আসিফ আকবরের এখন পর্যন্ত ১৯টি একক ও ১০৭টি মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।
অডিও অ্যালবামের পাশাপাশি প্লেব্যাকেও সমান জনপ্রিয় আসিফ আকবর। অডিওর আগে প্লেব্যাক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু তার। ১৯৯৮ সালে ডলি সায়ন্তির সঙ্গে ডুয়েট গান করেন ‘রাজা নাম্বার ওয়ান’ সিনেমায়। তখনও পরিচিতি পাননি তিনি। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো আসিফ আকবরের চলচ্চিত্রের সংখ্যা অসংখ্য। সামিয়া জামান পরিচালিতে ‘রানী কুঠির বাকী ইতিহাস’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
ছোট থেকে বাউণ্ডুলে আসিফ আকবর। অনার্স প্রথম বর্ষে বড় দুই ভাইকে পেরিয়ে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী সালমা আসিফ মিতু। প্রেমের বিয়ে, তাই জীবনের হালটা নিজেরই ধরতে হয়। ১৯৯৬ সালে তার বড় ছেলে রণ’র জন্ম হয়। তখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোয়নি তিনি। এরমধ্যে ঢাকায় আসে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। শুরু হয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের জীবন।
মাঝে দীর্ঘদিন গান থেকে বিরতি নেন আসিফ আকবর। অনেকটা অভিমান থেকে দূরে থাকেন তিনি। তবে আবারো সব অভিমান ভুলে এখন নিয়মিত আসিফ।
আসিফ আকবরের উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তুমি সুখী হও’, ‘তুমি কথা রাখোনি’, ‘তুমিও কাঁদবে একদিন’, ‘সুখে থাকো তুমি বান্ধবী’, ‘পাষানী তুমি পাষানী’, ‘কেন তুমি সুখে থাকবে’, ‘তুমিই মনে রাখোনি’, ‘একবার বলো তুমি’, ‘কেন তুমি সুখে থাকব’, ‘তুমিই ভালোবাসনি’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘বাঁচবো না’, ‘জবাব দাও’, ‘অভিনয়’, ‘সংসার’, ‘বন্দি’, ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’, ‘বৈকালের চাঁদ’ ‘শর্ত’, ‘কিছু ভুল কিছু স্মৃতি’, ‘এখনো জোছনা দেখি’, ‘এক ফোটা অশ্রু’।