আরিফিন শুভ
চিত্রনায়ক হতেই শহরে আসেন আরিফিন শুভ। ২০০৫ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন র্যাম্পে হাঁটা দিয়ে। পাশাপাশি ‘শুভ সকাল উইথ শুভ’ শিরোনামে শো করতেন রেডিও ফুর্তিতে। একদিকে শহরে টিকে থাকার সংগ্রাম, অন্যদিকে রূপালি পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্ন।
আরিফিন শুভর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিজ্ঞাপন দিয়ে। প্রথম বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয়তা তার পথচলাটা কিছুটা মসৃণ করে দেয়। এরপর নিয়মিত বিজ্ঞাপনে ডাক আসে তার। বিশেষ করে সেই সময় বাংলালিংক বিজ্ঞাপন দিয়ে আরিফিন শুভ ও সারিকা জুটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সফলতার চাকা বেশ দ্রুত ঘুরতে শুরু করে আরিফিন শুভর।
২০০৮ থেকে বাংলা নাটকে ডাক আসে আরিফিন শুভর। শুরুর দিকে পার্শ্ব চরিত্রের অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। স্টাইল ও অভিনয়ের ভিন্নতা অল্প সময়ে দর্শকদের কাছাকাছি চলে যান তিনি। একে একে অনেকগুলো নাটক জমা পড়তে থাকে ক্যারিয়ারের ঝুলিতে। কয়েকটি নাটক এখনো দর্শকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এরমধ্যে রয়েছে ‘ইজ ইকুয়াল টু’, ‘ভালোবাসি তাই’, ‘ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই’, ‘চিরকুমার সংঘ’, ‘রোড টু সাকসেস’, ‘বুলেট খান’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘দুটি ফড়িং ও একটি মৃত্যু’ ইত্যাদি।
বাংলা নাটকে আরিফিন শুভর জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। কিন্তু স্বপ্ন সিনেমা। সেই সুযোগ পেতে খুব দেরি করতে হলো না তাকে। ২০১০ সালে খিজির হায়াত খানের ‘জাগো’ চলচ্চিত্র দিয়ে সেলুলয়েড যাত্রা শুরু আরিফিন শুভর। তবে মূখ্য চরিত্রে নয়।
সেই সুযোগ আসে ২০১২ সালে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ছায়াছবি’ দিয়ে। চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার সঙ্গে জুটি বাঁধেন আরিফিন শুভ। ভাগ্য এখানে কিছুটা থেমে যায়। প্রথম মূখ্য চরিত্রের সুযোগ পাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায়নি এখনো। ২০১৩ সালে আরিফিন শুভর পার্শ্ব চরিত্রের অভিনয়ের আবার সুযোগ এলো। শাকিব খান ও জয়া আহসান অভিনীত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
২০১৪ থেকে পুরোদমে বাংলা সিনেমার একজন হয়ে উঠেন আরিফিন শুভ। শুরু হয় চিত্রনায়ক পরিচয়ে যাত্রা। একই বছর তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতিবছর এক বা একাধিক আরিফিন শুভর নতুন চলচ্চিত্র দেখা যায় রূপালি পর্দায়। এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো ‘কিস্তিমাত’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘নিয়তি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘সাপলুডু’ ইত্যাদি।
টলিউড সিনেমায় এরইমধ্যে অভিষেক হয় আরিফিন শুভর। ‘আহা রে’ শিরোনামে চলচ্চিত্র দিয়ে কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি।
আরিফিন শুভর বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় ২০১৫ সালে। অবশেষে জানা যায় একই বছর কলকাতার অর্পিতা সমাদ্দরকে বিয়ে করেন তিনি।