জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি হাকাইন্দে হিচিলেমার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাম্বিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার শাহ্ আহমেদ শফী।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকাতে রাষ্ট্রপতির অতিথি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও জাম্বিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও তা উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন । বিশেষ করে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও ঔষধ রপ্তানি এবং বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবীদের কর্মের সুযোগ তৈরির জন্য জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির নিকট তিনি আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার জাম্বিয়াতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপনে উভয় দেশই লাভবান হওয়ার বিষয়ে বলেন যে এতে করে জাম্বিয়ার জনগণের ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং তারা এ শিল্পে দক্ষতা অর্জন করবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাম্বিয়াতে পোশাক তৈরি করলে তা আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড ওপরচুনিটি অ্যাক্ট (এজিওএ)-এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিনাশুল্কে প্রবেশাধিকার পাবে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও জাম্বিয়ার মধ্যে সংযোগ এবং দুই দেশের জনগণের মাঝে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর উপরও জোর দিয়েছেন এবং এ বছরের মধ্যে জাম্বিয়া থেকে বাংলাদেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিদল প্রেরণের জন্য জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হাকাইন্দে হিচিলেমা তার বক্তব্যে বলেন যে, জাম্বিয়া উক্ত অনুষ্ঠানে পরিচয়পত্র পেশকারি প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহের সাথে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করে এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাম্বিয়ার পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী একদিকে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক কূটনীতির উপর ভিত্তি করে, তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহের মধ্যে বন্ধন আরও জোরদার করার জন্য নতুন স্বীকৃত হাই কমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
পরিশেষে তিনি যেসব দেশের দূতাবাস জাম্বিয়ায় নেই, সেসব দেশের দূতাবাস খোলার জন্য হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন । জাম্বিয়ার কপার, লোহাসহ বিভিন্ন ধাতব খনিতে বাংলাদেশে শ্রমিকেরা কাজ করতে চাইলে তিনি তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাবেন ।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের পিভিসি জাতীয় প্লাস্টিক পণ্যের প্রশংসা করেছেন এবং সেগুলো জাম্বিয়ায় রপ্তানি করার বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছাড়াও জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডা, বেলারুশসহ চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন ।
এনআই/এআইএস