শহীদ পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ঈদ কাটালেন জামায়াত আমির

জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে দিন কাটিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতে নামাজ শেষে শহীদদের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতে যাওয়া শুরু করেন তিনি।
এদিন নামাজের পর জুলাই আন্দোলনের শহীদ ফারহানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির। তিনি শহীদ ফারহানের মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শহীদ ফারহানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও কামাল হোসাইনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
একই দিন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলায় শহীদ হওয়া সাইফুল্লাহ মো. মাসুম ও হাফেজ শিপনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি শহীদ মাসুম ও শিপনের মা, বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন এবং পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
পরে ওই দিন বিকেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছয় বছরের শিশু জাবির ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাবির ইব্রাহিমের বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
এছাড়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ পিকআপ ভ্যানচালক রানা তালুকদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আরেক শহীদ জুবায়েরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ডা. শফিকুর রহমান। একই দিন জুলাই আন্দোলনের শহীদ আসাদুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন এবং পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। জামায়াত আমির শহীদ আসাদুল্লাহর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সন্তানকে কোলে তুলে নেন ও পরম স্নেহ-মমতায় আদর করেন।
জুলাই আন্দোলনে পানি বিতরণ করার সময় শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায়ও যান তিনি। সেখানে মুগ্ধের বাবা, ছোট ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
শহীদ তামীম ও শহীদ সিফাতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন জামায়াত আমির।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাই আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ধারাবাহিকভাবে যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ রবিন মিয়া, শহীদ আহমদ আব্দুল্লাহ, শহীদ ইয়াসির সরকার, শহীদ জিহাদ, শহীদ আব্দুল হান্নান, শহীদ ওয়াসিম শেখ, শহীদ নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর খাঁ, শহীদ রানা, শহীদ মিসেস শাহিনুর বেগম, শহীদ ইমন গাজী, শহীদ ইব্রাহিম, শহীদ মিরাজ হোসেন, শহীদ রাকিব ও শহীদ মাসুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান ও কামাল হোসাইন এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এআর আজাদসহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
জেইউ/এআইএস