ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সর্বদলীয় যুব ঐক্য
ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের নেতারা। এসব সংগঠনের নেতারা এক প্লাটফর্মে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় নগরে আলরাজি কমপ্লেক্সে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সোয়াহেল ইসলাম, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ইসলামি যুব মজলিসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাব্বির আহমেদ, বিপ্লবী যুব সংহতির সভাপতি বাবর চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এস এম শামসুল আলম নিক্সন ও ইসলামি যুব আন্দোলনের জেনারেল সেক্রেটারি মনসুর আহমেদ সাকি।
সভায় যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি নাদিম হোসেন বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। ভারত বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উদ্ভব ঘটাতে চাচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের ভেতরে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক ক্রিয়াশীল যুব সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এই মতবিনিময় সবার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে আমরা সর্বদলীয় একটি যুব ঐক্য তৈরির চেষ্টা করছি। আওয়ামী লীগ দুঃশাসনের পক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে শক্তি বাংলাদেশকে নৈতিক বাচকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যুব সমাজের ঐক্য গড়ে তুলবো।
আলোচনায় নেতারা বলেছেন, সর্বদলীয় একটি যুব ঐক্য গড়ে তুলে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়ে আমরা জাতিকে জানাবো। এছাড়া সারা দেশব্যাপী যুব সমাজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে। যুব সমাজকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করবো।
সংগঠনের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হওয়ার যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল যারা এটাকে ধৈর্য ধরে মোকাবিলা করেছেন তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। গত কয়েক দিন আগে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সরকারি হাই কমিশনে উগ্র ভারতীয়রা হামলা করেছে। এইটা স্পষ্ট ভিয়েনা কনভেনশনের আইনের লঙ্ঘন। তারা সীমান্তে এ দেশে আসার জন্য যেভাবে জড়ো হচ্ছে, যেভাবে ভারতীয় মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে এ বিষয়ে দেশের যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীকে বলবো আপনারা কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। ভারত আমাদের হুমকি দিচ্ছে ওই দেশের ভিসা সেবা বন্ধ করে দেবে, চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই সরকার যেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং উন্নত করে। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে আমাদের বিভিন্ন বাহিনীগুলোকে যেন শক্তিশালী করা হয়।
এমএসি/এমএসএ