পনেরোই আগস্ট বাঙালির চোখের কোলে জমাট বাঁধা শোকাশ্রু
বঙ্গবন্ধু কোনো ব্যক্তির একক পরিচয় নয়, একটি জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক আশা-আকাঙ্ক্ষার নাম। বঙ্গবন্ধু মানেই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটি মানচিত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে তার নির্মম মৃত্যুর শোক এজন্যই কোনো একক ব্যক্তির মৃত্যুর শোক নয়, একটি জাতির ট্র্যাজিক মৃত্যুর বেদনায় মুহ্যমান জাতীয় শোক।
আগস্ট বাঙালির চোখের কোলে জমাট বাঁধা শোকাশ্রু। প্রতি বছর আগস্ট আসে, আমাদের অস্তিত্বের মর্মমূলে শিকড় ছিঁড়ে যাওয়ার বেদনা টের পাই। সেই বেদনায় হৃদয় ক্ষতাক্ত হয়ে ওঠে। আমাদের চেতনা প্রবাহে কেবলই ভেসে বেড়ায় দিশেহারা নিজের এবং সকলের অস্তিত্ব—আমরা ভাবতে থাকি সেই পাকিস্তানি দুঃশাসনের কালে ডুবে যেতে যেতে একটি জাতি জেগে উঠেছিল যে মানুষটির অঙ্গুলি হেলনে তাকেই হত্যা করেছিল পথভ্রষ্ট কিছু সৈনিকরূপী হায়েনা তাদের দেশি-বিদেশি দোসরের ইশারায়।
বাঙালি আজও, তার মৃত্যুর ছেচল্লিশ বছর পরে শোকস্তব্ধ, ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে। হত্যাকারীরা একজন একক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল এজন্য যে তিনি ছিলেন সমষ্টি ও সামগ্রিকতার প্রতিরূপ—বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক এবং পাকিস্তান নামের একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। মহাকালের খেরোখাতায় হত্যাকারী নয়, নিহত বঙ্গবন্ধু মহামৃত্যুঞ্জয়ী শক্তি নিয়েই বেঁচে থাকবেন।
দু’হাজার একুশ সালের আগস্ট আর পঁচাত্তরের আগস্টের মাঝখানে ছেচল্লিশ বছরের ব্যবধান। যে প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় তরুণ ছিল তাদের ঘরেও এখন আরেকটি তরুণ প্রজন্ম।
বিএনপি, জামায়াত, এরশাদের দীর্ঘ শাসনামলে ইতিহাস বিকৃতির যে কুৎসিত অধ্যায়টি রচিত হয়েছিল তার ভেতর দিয়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল তারা এখন সত্য ইতিহাসের অমল স্পর্শের প্রজন্ম। তবুও তাদের চেতনার গলি ঘুপচিতে লুকিয়ে রয়েছে বিকৃত ইতিহাসের কালো ছায়া। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের জানাতে হবে বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একটি অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িয়ে রয়েছে।
বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের শুভ সূচনা করেছে তার ফলে বিশ্বের তাবৎ তথ্যভাণ্ডার এখন হাতের মুঠোয়। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুধু কাগজে না রেখে এর সকল সুবিধা ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দিতে হবে তরুণ প্রজন্মের কাছে।
বঙ্গবন্ধু উঠে আসবেন ইতিহাসের মহান চরিত্র হয়ে আমাদের নাটকে, উপন্যাসে, গল্পে, কবিতায়, সিনেমায় আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশরূপে। শোকস্তব্ধ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনাকে ধারণ করে বাঙালির আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের বর্তমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে হবে।
বিএনপি, জামায়াত, এরশাদের দীর্ঘ শাসনামলে ইতিহাস বিকৃতির যে কুৎসিত অধ্যায়টি রচিত হয়েছিল তার ভেতর দিয়ে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল তারা এখন সত্য ইতিহাসের অমল স্পর্শের প্রজন্ম।
রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে সারা বিশ্ব যখন একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে, বাংলাদেশ নামের তৃতীয় বিশ্বের একটি দরিদ্র দেশ যখন দারিদ্র্য ও মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে তখনো আমাদের সমষ্টিগত শক্তির প্রেরণা হয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধু। কারণ বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তান নামের একটি দানবিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। তাই একটি সংগ্রামী জাতির এই প্রত্যয় থাকা খুবই স্বাভাবিক যে, যেকোনো মারি ও মন্বন্তরের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা বাঙালির রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বর্তমান বাংলাদেশ এবং প্রজন্মান্তরের বাংলাদেশের জন্য কেন প্রাসঙ্গিক এবং অনিবার্য সেই বিষয়টি অনুধাবন করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ছেচল্লিশ বছর পরও তিনি বাঙালির অস্তিত্বের গভীরে কেন প্রবলভাবে অস্তিত্বময় তা নতুন প্রজন্মকে জানানো খুবই জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমষ্টিগত ভাবালুতার সঙ্গে ব্যক্তির যৌক্তিক, প্রাসঙ্গিক এবং আদর্শিক ভালোবাসাকে অঙ্গীকরণ করা গেলেই সামষ্টিক ভাবালুতাকে অনিবার্য শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আর তখনই স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা ধর্ম নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু আজও প্রাসঙ্গিক এজন্য যে, বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের যে দেশটির রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রিক অবয়ব তিনি দিয়েছেন যা স্বপ্নরূপে হাজার বছর ধরে বহমান ছিল সহস্র বছরের বাঙালির অন্তরে।
বঙ্গবন্ধু উঠে আসবেন ইতিহাসের মহান চরিত্র হয়ে আমাদের নাটকে, উপন্যাসে, গল্পে, কবিতায়, সিনেমায় আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশরূপে।
বাঙালিকে স্বাধীনভাবে বাঁচবার এবং স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য একটি স্বাধীন দেশ তিনি এনে দিয়েছিলেন বলেই বাঙালি এখন মুক্তচিন্তার মানুষরূপে দেশে এবং বিশ্বে পরিচিত। এই যে উদার ব্যাপ্ত প্রকাশের ক্ষমতা তিনি এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে তার প্রকৃত চর্চা করলেই বাংলাদেশের প্রকৃত রূপটি চেনা সহজ হবে। তিনি এজন্য প্রাসঙ্গিক। এই যে একটি স্বপ্নের দেশ তিনি এনে দিলেন এজন্য তিনি একাল এবং সর্বকালেই প্রাসঙ্গিক। এটিও বিবেচনায় রাখতে হবে যে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শিখিয়েছেন।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বাঙালির মননে ও বিশ্বাসে প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাকে আজও প্রয়োজন। তাই বঙ্গবন্ধু এখনো প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ শুধু স্বাধীন নয়, সমৃদ্ধির সুউচ্চ শিখরে পৌঁছাবে একদিন। সেই স্বপ্ন পূরণ এখন যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছে—এজন্য বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বপ্ন পূরণের বাতিঘর হিসেবে বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও প্রাসঙ্গিক থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু বাঙালির সহস্র বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেই সংস্কৃতিবান জাতিরাষ্ট্র গঠনের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মদদ পুষ্ট তৎকালীন মোশতাক, জিয়ার সরকার। কারণ যে ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার মূলে কুঠারাঘাত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সরকারগুলো। তারা প্রথমেই ধর্মের জিকির তুলে এবং ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির শিকড় ধরে টান দিল।
বাঙালির জীবনযাপনের সঙ্গে অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িয়ে থাকা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিগত সম্প্রীতি জড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলতে চাইল। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু নিজে এবং এদেশের সকল ধর্মের মানুষকে দেখিয়েছিলেন, যে স্বপ্নের প্রেরণায় ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একসাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এদেশের সর্বস্তরের মানুষ তাকে নস্যাৎ করে দিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর।
বাঙালিকে স্বাধীনভাবে বাঁচবার এবং স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য একটি স্বাধীন দেশ তিনি এনে দিয়েছিলেন বলেই বাঙালি এখন মুক্তচিন্তার মানুষরূপে দেশে এবং বিশ্বে পরিচিত।
খন্দকার মোশতাক থেকে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার শাসনামলে মৌলবাদী শক্তির ক্রমাগত যে উত্থান ঘটেছিল তার অবলেশ এখনো বাংলাদেশের শাসন কাঠামোর ভেতরে-বাইরে সংগোপনে সক্রিয়। তার উচ্ছেদের জন্য যে শক্তি, সাহস ও প্রেরণার প্রয়োজন সে তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভেতরে নিহিত। কিন্তু কা কস্য পরিবেদনা, গোপনে যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারা এখন ক্রমাগত বঙ্গবন্ধুর নাম জপ করে নানা জায়গায় প্রতিষ্ঠা করে নিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু তিমিরবিদারী একটি শক্তিরূপে আজও প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে প্রজন্মান্তরে বাহিত করা গেলেই বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও আধুনিক অবয়বটি পূর্ণাঙ্গতা পাবে। পনেরো আগস্টের অন্ধকার রাতে মানবতাবাদী যে মহান নেতাকে পাকিস্তানি অন্ধকারে পরিপুষ্ট কুলাঙ্গার কিছু সৈনিক হত্যা করেছিল, যাদের পেছনে ছিল দেশ ও বিদেশের অপশক্তি—তারা শুধু একটি সময়ের প্রেক্ষাপটে একজন মানুষকেই হত্যা করেনি, তারা একটি পরিবারের নারী পুরুষ এবং শিশুকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার বাংলাদেশকে প্রাণের চেয়েও ভালোবাসে, এই পরিবারের ঠিকানা তেরোশত নদীবিধৌত শ্যামল বাংলা তাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই হত্যাকারীরা সেই সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে কেড়ে নিয়েছিল বাঙালির শোক পালন করার অধিকার।
ভয়াল আগস্টে রক্তাক্ত নিহত নেতা ক্রমাগত সূর্যস্পর্শী হয়ে উঠবে সে কথা তারা এবং তাদের নিয়ন্ত্রক বহিরাগত শক্তি জানতো বলেই পনেরো আগস্টকে বানিয়েছিল খালেদা জিয়ার কল্পিত জন্মদিন। সারা জাতি যখন শোকস্তব্ধ তখন এই নির্লজ্জ বেহায়াপনা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকে বড় অশ্লীলভাবে প্রকটিত করে।
বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে প্রজন্মান্তরে বাহিত করা গেলেই বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও আধুনিক অবয়বটি পূর্ণাঙ্গতা পাবে।
বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছেন মহামৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু তাকে নিঃশেষিত করেনি বরং বাঙালির চিত্তাকাশে আরও উজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করেছে। এই প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, আজ তারা যে পথটি দিয়ে সামনের দিকে চলছে তা তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যে বাঙালিকে পাকিস্তানিরা তৃতীয় শ্রেণির মানুষেরও মর্যাদা দিতে চায়নি সেই বাঙালিকে একটি বীর জাতিতে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের ছেঁড়া পাতার মতো কাল পরম্পরায় শক, হুন, পাঠান, মুঘল, ইংরেজ ও পাকিস্তানিদের আস্তাকুঁড়ে দিকচিহ্ণহীন উড়ছিল যে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু তাদের এনে দিলেন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। এজন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবির্ভাব একটি শতাব্দীর উন্মুখ প্রতীক্ষার নাম।
রবীন্দ্রনাথ তার কবিতায় এক মহান নেতার আর্বিভাবের কথা বলেছিলেন, যিনি আসবেন পূর্বাচল থেকে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার সনদ নিয়ে এসেছেন এই পূর্ববঙ্গ, আমাদের বাংলাদেশ থেকে। রবীন্দ্রনাথের বাণীতেই যথার্থ বিধৃত বঙ্গবন্ধু ‘ঐ মহামানব আসে, দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে।’ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের ভেতর দিয়ে হয়ে উঠেছেন মহাকাব্যের চরিত্র ও বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের অমর রচয়িতা।
‘শিশুতীর্থ’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, যে নেতা একদিন অন্ধকার থেকে, ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন তার জাতিকে কিন্তু তাকেই তারা হত্যা করেছিল। এই কবিতায় যিশুর যে প্রতিভাস তা আমার কাছে বঙ্গবন্ধুর সমান্তরাল হয়ে ওঠে। ‘শিশুতীর্থ’ কবিতার বেদনার পঙ্ক্তিমালা খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়—
‘সংশয়ে তাকে আমরা অস্বীকার করেছি,
প্রেমে এখন আমরা তাকে গ্রহণ করব,
কেননা, মৃত্যুর দ্বারা সে আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে সঞ্জীবিত।
সেই মহামৃত্যুঞ্জয়।’
বঙ্গবন্ধুর সত্তার গভীরে ছিল স্বদেশের মাটি ও মানুষের জন্য গভীর ভালোবাসা। সারাজীবনই তার কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে মানবতার জয়গান। আর এই মানবতাবোধ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের মাটির প্রতি আজন্মের টান তাকে বানিয়েছে ধ্রুপদী কালের ট্র্যাজেডির চরিত্র, ইতিহাসের মহানায়ক এবং বিশ্বসভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়।
পনেরোই আগস্ট বাঙালির চোখের কোলে জমাট বাঁধা শোকাশ্রু।
ড. আফসার আহমদ ।। লেখক ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়