প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর থেকে কী পেল বাংলাদেশ?

অবশেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বহুল প্রতীক্ষিত ও ঘটনাবহুল চারদিনব্যাপী চীন সফর সফলভাবে সম্পন্ন হলো। ২৬ মার্চ দুপুরে চীনের পাঠানো এক বিশেষ বিমানে চড়ে তিনি চীন যাত্রা করেন এবং ২৯ মার্চ রাতে দেশে ফেরেন। ড. ইউনূস ২৭ মার্চ সকালে চীন আয়োজিত দ্যা বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ অংশ নেন। দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলে অবস্থিত চীনের হাইনান প্রদেশের পর্যটন শহর বোয়াও। ২০০১ সালে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে এই বিএফএ সংগঠনটি গঠিত হয়। বর্তমানে জাপান-অস্ট্রেলিয়াসহ এর সদস্য সংখ্যা ২৯। এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে সমন্বয় সাধন ও সহযোগিতার বিষয়ে ভাবের আদান-প্রদানের লক্ষ্যে এই সংগঠনটি গঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি এবং অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংগঠন। যা মূলত একটি ডায়ালগ ফোরাম হিসেবে কাজ করে। প্রতিবছর বোয়াও শহরে এর বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একে এখন এশিয়ান ড্যাভোস সম্মেলন হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে ড. ইউনূস ২০০৭ সালে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০২৫-এর এই সম্মেলনে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। এবারের সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞাপন
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য (থিম) ছিল, এশিয়া ইন দ্য চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড বা বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্যে এশিয়ার ভবিষ্যৎ গঠন। এ বিষয়ের ওপর ড. ইউনূস এক দীর্ঘ বক্তৃতার মাধ্যমে তার ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি পরিবর্তিত ভূরাজনীতি ও সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, দেশে দেশে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি, বাণিজ্যে ব্যাঘাত, ঋণ গ্রহণকারী দেশগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান সুদের হার, ঋণ পরিশোধের খরচ বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তার শঙ্কা, জ্বালানি সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি ও অবৈধ আর্থিক প্রবাহের ভুক্তভোগী। তিনি এশিয়ার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। এশিয়াকে উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি শূন্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব বিশ্ব গড়ার সংকল্প ব্যক্ত করেন। তার বক্তৃতাটি দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। ওই সম্মেলন উপলক্ষে তিনি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকজন বরেণ্য ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেন।
২৮ মার্চ বাংলাদেশের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ওই দিন ড. ইউনূস সফরের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন অতিবাহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে সাথে নিয়ে ১০০টির বেশি চীনা বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। যার মধ্যে কয়েকটি বৃহৎ চীনা কোম্পানিও ছিল। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষধ শিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। ড. ইউনূস কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চারদিনব্যাপী চীন সফরের নগদ প্রাপ্তি হলো ২১০ কোটি (২.১) বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি লাভ। এটা এ সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন। চীনা সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ এ প্রতিশ্রুতি লাভ করেছে। চীনের প্রায় ৩০টি কোম্পানি বাংলাদেশে অবস্থিত বিশেষ চীনা শিল্পাঞ্চলে ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। চীন বাংলাদেশের মংলা সমুদ্র বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, এ দেশে স্থাপিত চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসাবে আরও ১৫ কোটি ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসাবে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ওই একই দিন ২৮ মার্চ ডক্টর ইউনূস তার সফর সঙ্গীদের সাথে নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য দেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনের বেসরকারি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার অনুরোধ জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেন যে চীনের কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বৈচিত্র্যময় করতে চাইলে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তাদের তিনি উৎসাহিত করবেন।
বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সেখানে ঢাকা-বেইজিং ১টি চুক্তি এবং ৮টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি হয় বাংলাদেশ ও চীন অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত। আর আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ধ্রুপদী সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনিময় ও সহযোগিতা, তথ্য বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত। ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান। চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠককালে বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম করেছে। চীনের সাথে তার নিজের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, চীনদেশে গ্রামীণ ব্যাংক ও সামাজিক ব্যবসার প্রচলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। তাইওয়ানকে চীনের অংশ গণ্য করে তিনি বাংলাদেশ সরকারের এক চীন নীতির অবস্থানের কথা চীনা প্রেসিডেন্টের কাছে ব্যক্ত করেন।
২৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় চীনা সাহায্য চান। বাংলাদেশের শত শত বিস্তৃত নদী ও এর পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চান। তিনি তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি বিশুদ্ধকরণ বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। পানি ব্যবস্থাপনায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিশন বাংলাদেশের সাথে শেয়ার করার আহ্বান জানান। চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সাথে একমত হয়ে বলেন, চীন ও বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা একই রকমের চ্যালেঞ্জ। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
২৮ মার্চের ব্যস্ততম দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে তিনটি গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নেন। সেগুলো ছিল; ১. টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ,
২. বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারের সুযোগ এবং
৩. সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা ও থ্রি জিরো বিশ্বের ভবিষ্যৎ।
এসব গোল টেবিল আলোচনায় তার প্রদত্ত বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের নেটিজেনদের নিকট ব্যাপক আলোড়িত হয়, বিদেশেও সমাদৃত হয়।
ডক্টর ইউনূসের সফরের শেষ দিন ২৯ মার্চ তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু শেখার জায়গা নয়, স্বপ্ন দেখারও জায়গা। তিনি বিশ্বকে বদলে দিতে শিক্ষার্থীদের বড় স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানান। স্বপ্ন দেখতে পারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন, তবে তা ঘটবেই। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে তা কখনো ঘটবে না। শিক্ষার্থীদের অতীতের দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যা কিছু ঘটেছে, কেউ না কেউ আগে তা কল্পনা করেছিল। কল্পনা যেকোনো কিছু থেকেও বেশি শক্তিশালী। শিক্ষার্থীদের ‘অদ্ভুত ও অকল্পনীয়’ বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করে ড. ইউনূস বলেন, মানব সভ্যতার যাত্রা হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা। সেটাই আমাদের কাজ। আর আমরাই তা করতে পারি। চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট খেতাবে ভূষিত করা হয়। এরপর তিনি ২৯ মার্চ রাতে দেশে ফেরেন।
এভাবে প্রফেসর ইউনূসের চীন সফর সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়। অথচ তার সফরের পূর্বে ভারতীয় মিডিয়ার তৎপরতায় এদেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলে। এমনকি তার চীন সফর চলাকালীন সময়েও ভারতীয় মিডিয়ায় ব্যাপক প্রোপাগান্ডা ও আহাজারি চলতে থাকে। তাদের কেউ কেউ চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে মার্কিন বিরোধী তৎপরতা হিসেবে চিত্রিত করতে থাকে। আবার কেউ কেউ বলে, ড. ইউনূসের চীন সফর থেকে বাংলাদেশ কিছুই অর্জন করতে পারবে না। পরিশেষে এ সবই ব্যর্থ হয়।
প্রধান উপদেষ্টার এই চীন সফরের ফলে বাংলাদেশ ভারতীয় মিডিয়ার প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে এক মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে জয়লাভ করে। আর এ সফরের ফলে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নতুন ধাপে উন্নীত হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেল। ঢাকা ও বেইজিং পরস্পরের সম্পর্কে এগিয়ে নিতে আরও বেশি আগ্রহী হলো। বিশেষ করে ১৫ বছরের হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে যেভাবে ভারতের কাছে নতজানু করে রাখা হয়েছিল তা থেকে মুক্তির সূচনা হলো। এ সফর থেকে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এছাড়া চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত বিনা শুল্কে প্রবেশ অব্যাহত থাকার সুবিধা পাওয়া গেল।
বর্তমানে এশিয়া হয়ে উঠছে বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির ভরকেন্দ্র। এশিয়ায় পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশ লোকের বসবাস। আর বিশ্ব অর্থনীতির মোট জিডিপি'র ৫৫ শতাংশ এশিয়া ধারণ করে। চীন শুধু এ অঞ্চলে নয় বরং সারা বিশ্বের নম্বর ওয়ান গ্লোবাল অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে। এটা অবশ্যম্ভাবী। বর্তমান চলতি অবস্থায় চীনের এই উত্থানকে আর কোনো দেশ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছুদিন বিশ্বের এক নম্বর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকবে। এ কারণে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবে। এদেশে চীনকে যেমন বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করা হবে, তেমনিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো এবং রাশিয়াকেও সমান সুযোগ দেওয়া হবে। এটাই বাংলাদেশের উন্মুক্ত বাণিজ্য নীতি। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে ড. ইউনূসের চীন সফরের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জুবায়ের হাসান ।। রাজনৈতিক বিশ্লেষক