তুলসীর বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা

সদ্য নিযুক্ত মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হলেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, এফবিআই, এনএসএসহ মোট ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে এ পদে মনোনয়ন লাভের পর তা সিনেট কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদিত হতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তার মনোনয়ন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চলতে থাকে নানা সমালোচনা। পত্রপত্রিকায় তাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অবশেষে সিনেটে ৩০ ঘণ্টার এক দীর্ঘ বিতর্ক শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি ৫২-৪৮ ভোটের ব্যবধানে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল তার মনোনয়নের বিপক্ষে ভোট দেন। বলা হয়, গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট কাজকর্মে তুলসী গ্যাবার্ডের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই।
তুলসী গ্যাবার্ড এক সময় ডেমোক্রেট দলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি হতে পেরেছিলেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য (Congress Woman)। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হতে চেয়ে ব্যর্থ হন। ২০২২ সালে দল থেকে পদত্যাগ করেন। অতঃপর ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে রিপাবলিকান দলে যোগ দেন এবং দ্রুতই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। নৃতাত্ত্বিকভাবে তিনি খাঁটি শ্বেতাঙ্গ মার্কিন নারী হলেও ব্যক্তি জীবনে হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে চলেন। তার শ্বেতাঙ্গ মা হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস গ্রহণ করেছিলেন। তুলসী গ্যাবার্ড হিন্দু ধর্মের প্রতি এতটাই অনুরক্ত যে তিনি শ্রীমদ্ভগবদ গীতা হাতে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
তুলসী গ্যাবার্ড এক বহুরাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ড সফর শেষে সেখান থেকে ১৬ মার্চ ভারত পৌঁছান। ভারতে তিনি কোয়াডের চার সদস্য রাষ্ট্রসহ মোট ২০টি দেশের গোয়েন্দা প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে উপস্থিত হন। এছাড়া তিনি শীর্ষ ভারতীয় কর্তা ব্যক্তিদের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। এসবের মাঝেই ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভি তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তা ১৭ মার্চ প্রচার করে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এনডিটিভির সাংবাদিক বিষ্ণু সোম। উল্লেখ্য এক সময় এ চ্যানেলের খ্যাতি থাকলেও বর্তমানে এটি বেনামে আদানির মালিকানায় চলে গিয়েছে। তখন থেকে চ্যানেলটি হয়ে পড়ে গোদি মিডিয়া বা বিজেপির প্রোপাগান্ডা যন্ত্র।
যাই হোক এনডিটিভির ইউটিউবে প্রচারিত তুলসী গ্যাবার্ডের মূল সাক্ষাৎকার পর্বটি মোট সোয়া নয় মিনিট দীর্ঘ। সেখানে প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক বিষয়ক। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ইয়েমেন সম্পর্কিত প্রশ্ন, তৃতীয় প্রশ্ন ইউক্রেন-রাশিয়া সংক্রান্তি, চতুর্থ প্রশ্ন বাংলাদেশ বিষয়ে এবং সব শেষ প্রশ্ন হিন্দুদের হোলি উৎসব নিয়ে তার ব্যক্তিগত অনুভূতি বিষয়ক প্রশ্ন। বাংলাদেশ বিষয়ে তুলসী গ্যাবার্ড মাত্র দেড় মিনিটের (৬.১৭ থেকে ৭.৪৫ মিনিট) বক্তব্য দিয়েছেন। সাংবাদিক বিষ্ণু সোমের প্রশ্ন করেন, ভারতের নিকটবর্তী এ উপমহাদেশের অন্তর্গত বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে, সেখানে অনেক সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি ভাবছে? সেখানকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নয়, সব পর্যায়ের স্থিতিশীলতা (সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি)? এমন প্রশ্ন থেকেই বোঝা যায় যে প্রশ্নটি বেশ সাজানো ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং প্রশ্নকর্তা তার অনুকূলে একটি উত্তর আশা করছেন। ফলে তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উত্তর দেন। তিনি বলেন—'Yeah of course, The longtime, unfortunate! persecution and killing, and abuse of religious minorities, Hindus, Buddhists, Christians, Catholics and others has been a major area of concern for the US government and of course President Trump and his administration. The talks are just beginning between President Trump's new cabinet coming in and the Government of Bangladesh, but this continues to remain a central focus area of concern. Once again with the threat of Islamist terrorist and their overall effort, the global effort, all of these different groups are really routed in their same ideology, the objective which is to rule and govern with an Islamist Caliphate. This obviously affects people of any other religion, other than one that they find acceptable, and they chose to carry this out with very violent and terroristic means. President Trump remains committed to identifying the ideology that drives Islamist terrorism, helping to defeat that ideology, to defeat their ability to exert that terror on people, the American people and others.'
এভাবে ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার সাক্ষী হলেন তুলসী গ্যাবার্ড। তার মুখ থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত উত্তর শুনে এনডিটিভিসহ অপরাপর ভারতীয় মিডিয়া উল্লসিত হয়। তারা ওই বক্তব্যের সাথে অতিরিক্ত শব্দ যোগ করে রঙ চড়ানো কথার ঢাকঢোল পেটানো শুরু করে। কথার অনুবাদ ও মর্মার্থ বিকৃত করে ফেলা হয়। যেমন তুলসী গ্যাবার্ড শুরুতেই বলেন, অনেকদিন ধরেই (The long time) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। অর্থাৎ তিনি ড. ইউনূস সরকারের আমলকে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি। বরং তিনি হাসিনার আমল কিংবা তারও আগে থেকে চলে আসা ঘটনাকাল বুঝিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া তা এড়িয়ে গিয়ে ড. ইউনূস সরকারের আমলের দিকে ইশারা করে। অনেক বাংলাদেশি মিডিয়া বুঝে কিংবা না বুঝেই সেই ভারতীয় মিডিয়ার কারসাজিকেই অনুসরণ করে। এতে ড. ইউনূস বিরোধী ভারত সরকার মুচকি হাসে। আর তাদের সহযোগী এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা যারা অনতিবিলম্বে প্রফেসর ইউনূস সরকারের অপসারণে মরিয়া তারা আশান্বিত হয়ে পড়ে যে কিছু একটা এবার হবেই। আমেরিকা খেপেছে, নরেন্দ্র মোদির কাঁধে হাত রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতএব আর রক্ষা নেই। ড. ইউনূসকে ক্ষমতার গদি ছাড়তেই হবে।
তুলসী গ্যাবার্ড তার বক্তব্যের শেষ অংশে বৈশ্বিক ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান ও ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ভয়াবহতার বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন এবং এ সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ গ্রহণের দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তুলসী গ্যাবার্ডের ভারত সফরের আগে ৭ মার্চ, শুক্রবার ঢাকায় হিযবুত তাহরীরের এক দেড়শ কর্মী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঝটিকা মিছিল বের করেছিল। তুলসী গ্যাবার্ড ও ভারতীয় মিডিয়া এখন এ ঘটনাকেই অজুহাত বানিয়ে বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। সুতরাং এ থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর কার ইশারায় মাঠে নেমেছিল?
ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা এবং তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্য বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ২০১৭-২০২১ সালে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তখন তিনিই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনের ইতি টেনেছিলেন। এবারের ২০২৪ সালের নির্বাচন উপলক্ষে পরিচালিত প্রচার-প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন সম্পর্কে কোনো কথাই উচ্চারণ করেননি। বস্তুত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন এখন মৃত ইস্যু। তিনি মনে করেন বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনের যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ নয়। এর সাথে তার দেশের স্বার্থ জড়িত নয়। তাই তিনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করে পয়সা খরচ করতে চান না। এটাই তার স্পষ্ট অবস্থান। এমতাবস্থায় তুলসী গ্যাবার্ড এনডিটিভিতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অখুশী হতে পারেন। কেননা তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বলা কথা। এজন্য ট্রাম্প নিরালায় তুলসী গ্যাবার্ডকে ভর্ৎসনা করতে পারেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেখা যেত তিনি হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদল করে কাছের অনেককে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। তাই কাজকর্মে অদক্ষতার অজুহাতে কোনো এক সময় তুলসী গ্যাবার্ডের ক্ষেত্রেও ট্রাম্প কর্তৃক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় মিডিয়ার উল্লাস সহসাই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভারতীয় মিডিয়ায় তুলসী গ্যাবার্ডের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরদিন আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের কাছে এক ইন্ডিয়ান সাংবাদিক বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এনিয়ে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। প্রশ্নকর্তা দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি তাতে আর রাজি হননি। তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন, 'সরকারের সঙ্গে সরকারের কূটনৈতিক বিবেচনা বা একটি নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে মনোভাব ও পদ্ধতির উত্তর তিনি দেবেন না। যেগুলো একটি কূটনৈতিক ধরনের কথোপকথনের মধ্যে পড়ে, সেখানে স্পষ্টতই তিনি কথা বলতে পারেন না। অথবা কী ঘটতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি অনুমান করতে পারেন না।' ট্যামি ব্রুসের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এটা বলা যায় তুলসী গ্যাবার্ড নিজ এখতিয়ারের বাইরে কথা বলেছেন। যা আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের (মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের) বলার কথা সেই এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে তুলসী গ্যাবার্ড অনধিকার চর্চা করে কথা বলেছেন। এ থেকে ধরে নেওয়া যেতে পারে তিনি ওই কথা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতেই বলেছিলেন। যাতে মোদি তা নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী হইচই তুলতে পারেন।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তাতে বলা হয়, 'তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যে পুরো বাংলাদেশকে অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। তার মন্তব্য কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি।'
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই প্রতিবাদ ছিল সত্যের ওপর দাঁড়ানো এক সাহসী প্রতিক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুকে সন্নিবেশিত উক্ত প্রতিবাদ লিপি বাংলাদেশস্থ ফরাসি দূতাবাস তাদের একাউন্টে শেয়ার করে। এটাও ছিল বাংলাদেশের জন্য এক কূটনৈতিক বিজয়। ওদিকে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স পূর্ব নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে এসে ১৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার সাথে আলাপকালে প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে সত্যিকারের তথ্য পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান। এটা ছিল প্রফেসর ইউনূসের সৎ ও সাহসী এক আহ্বান।
বাংলাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দারুণ এক আবহ বিরাজ করছে তখন ভারতে সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ভারতের এই সাম্প্রদায়িক গোলযোগ সম্পর্কে ভারতীয় মিডিয়া রয়েছে সম্পূর্ণ নীরব। বরং এর বিপরীতে তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে সরব হয়েছে। বস্তুত ভারতীয় মিডিয়া দানবের মিথ্যা প্রচারণার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় এই মিডিয়া আগ্রাসন থেকে মুক্ত ও নিরাপদ থাকতে হলে এদেশের জনগণকে তুলতে হবে উচ্চকণ্ঠে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ। মনে রাখতে হবে দেরিতে হলেও মিথ্যার প্রাচীর এক সময় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
জুবায়ের হাসান ।। রাজনীতির বিশ্লেষক