সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা : ‘প্রতিবাদ হবে রক্ত পলাশে রক্ত জবায়’
নিজের ভালো নাকি পাগলেও বোঝে। কিন্তু মানুষ নিজের ভালোটা বোঝে না। মানুষকে আমি বলি আত্মহত্যাপ্রবণ জাতি। যে ডালে বসে আছি, সেই ডাল কাটতে আমাদের জুড়ি নেই। আমরা শুধু বর্তমানটা দেখি। বর্তমানটা আরামদায়ক করতে আমরা ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেই।
এই যে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বই ক্রমশ উষ্ণতর হয়ে উঠছে, এর দায় আমি পুরোটাই দেই মানুষকেই। ২০২৩ সালে প্রচণ্ড গরম আমাদের গায়ে লেগেছে। বারবার তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। শুধু যে প্রচণ্ড গরম তাই নয়। কয়েকবছর ধরেই প্রকৃতি উল্টাপাল্টা আচরণ করছে।
শীতকালে শীত নেই, বর্ষাকালে দেখা নেই বৃষ্টির। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মতো একটা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল, সেদিন ঢাকায় এক ফোটা বৃষ্টি হলো না। বৃষ্টি হলো পরে। এগুলো কিন্তু স্বাভাবিক আচরণ নয়। কিন্তু প্রকৃতি কোনো অস্বাভাবিক আচরণ করলেই আমরা সব দায় চাপিয়ে দেই প্রকৃতিরই ওপর।
আরও পড়ুন >>> আধিপত্য নয়, বন্ধুত্ব করি প্রকৃতির সঙ্গে
গালভরা নাম দিয়েছি ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’। কিন্তু প্রকৃতি কেন বদলে যাচ্ছে, এর দায় কার; সেটা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? এই ধরিত্রী কিন্তু শুধু মানুষের নয়। সৃষ্টিকর্তা এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, মানুষসহ গোটা প্রাণিকুলের বসবাসের যোগ্য করে। সব পশু-প্রাণীর খাদ্য, বেঁচে থাকার উপায় বিরাজিত ছিল এই প্রকৃতিতেই। কিন্তু মাথায় একটু বেশি বুদ্ধি, এই দাপটে মানুষ পৃথিবীকে নিজেদের বানিয়ে ফেলেছে।
মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থ বা সুবিধা বিবেচনা করেই বাকি প্রাণিকুলের অস্তিত্ব নির্ভর করছে। পশু-পাখির আবাসভূমি বন-জঙ্গল উজাড় করে মানুষ তার আবাস গড়েছে। এভাবে মনুষ্যকুল পৃথিবী গ্রাস করে নিয়েছে। প্রাণিকুল কোনোরকমে টিকে থাকা অল্প-স্বল্প জঙ্গলে লুকিয়ে বেঁচেছে বা চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হয়েছে।
প্রকৃতির একটা ভারসাম্য আছে, একটা সাইকেল আছে। কতটুকু পানি থাকবে, কতটুকু বরফ থাকবে, কতটুকু গাছ থাকবে, কতটুকু ফাঁকা জায়গা থাকবে—সবটুকুরই একটা হিসাব আছে। কিন্তু আমরা নিজেদের স্বার্থে প্রকৃতির সব ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছি।
আমরা যা করেছি, তা সব মানুষের জন্য করিনি। সম্পদশালীদের জন্য, প্রভাবশালীদের জন্য আরামদায়ক বিশ্ব গড়তে গিয়ে আমরা বেশিরভাগ মানুষের জন্য পৃথিবী বাসের অযোগ্য করে তুলছি।
মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থ বা সুবিধা বিবেচনা করেই বাকি প্রাণিকুলের অস্তিত্ব নির্ভর করছে। পশু-পাখির আবাসভূমি বন-জঙ্গল উজাড় করে মানুষ তার আবাস গড়েছে। এভাবে মনুষ্যকুল পৃথিবী গ্রাস করে নিয়েছে।
ধরুন আমরা, মানে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা গরম থেকে বাঁচার জন্য শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেছি। তাতে পৃথিবী আরও উষ্ণ হয়েছে। অল্পকিছু মানুষের আয়েশের ব্যবস্থা করতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষের বেঁচে থাকাটা কষ্টকর করে তুলেছি।
শিল্পায়নের নামে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়ে প্রকৃতিকে উষ্ণতর করে তুলছি। আর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তার দায় দিচ্ছি প্রকৃতিকে। এখন আমরা ভয়ে আছি, পৃথিবী এভাবে গরম হতে থাকলে আরও বেশি বরফ গলে যাবে। তাতে হয়তো তলিয়ে যাবে অনেক দেশ। আমরা আশা করছি, গরিবদের দেশ তলিয়ে যাক, বড় লোকরা এসিতে আরামে হাওয়া খেতে পারবে। কিন্তু একবারও ভাবছি না, যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে; গোটা পৃথিবীই একসময় মরুভূমি হয়ে যাবে, কারওই বসবাসের যোগ্য থাকবে না।
আরও পড়ুন >>> জলবায়ু পরিবর্তন : তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ১৩ শতাংশ ভূমি
গোটা বিশ্বের কথা বাদ দিন। ঢাকার কথায় আসি। নব্বইয়ের দশকে আমি দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ করতাম। তখন জনকণ্ঠ অফিস ছিল মতিঝিলে। আর আমার বাসা ছিল রাজাবাজারে। রাতে কাজ শেষে অফিস থেকে তিন চাকার বেবিট্যাক্সিতে বাসায় ফিরতাম। গরমের সময় হাওয়া খেতে খেতে বাসায় ফিরতে খারাপ লাগতো না। কিন্তু বেবিট্যাক্সি কাকরাইল মসজিদের মোড় ঘুরে মিন্টো রোডে ঢুকলেই শীতের একটা ঝাপটা লাগতো। মতিঝিলের সাথে মিন্টো রোডের তাপমাত্রায় অন্তত ৪ ডিগ্রির ফারাক থাকতো।
গাছ যে প্রকৃতি শীতল রাখে, পানি যে প্রকৃতি শীতল রাখে; এটা বুঝতে বিজ্ঞানী হতে হয় না। কিন্তু আমরা বিজ্ঞানীর চেয়েও বেশি চালাক, আমাদের মাথায় টনটনে বাণিজ্য। গাছ কেটে আমরা সৌন্দর্য বাড়াচ্ছি, খাল ভরাট করে রাস্তায় বানাচ্ছি, জলাধার ভরাট করে আবাসিক এলাকা বানাচ্ছি।
ঢাকায় জমির কত দাম! এই মূল্যবান জমিতে গাছপালা, নদীনালা, পুকুর-জলাশয় লাভ কী? তারচেয়ে বড় বড় ভবন বানালে মোটা মোটা টাকা আসবে। সেখানে এসি লাগিয়ে আমরা আরামে হাওয়া খাওয়া যাবে।
মতিঝিলে একসময় জলাধার ছিল। এখন সেখানে পানির দেখা পাওয়াই ভার। মতিঝিল, কারওয়ানবাজারে কয়টা গাছ আছে? ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, নিকেতন, জাপান গার্ডেন সিটি—বড় বড় আবাসিক এলাকায় কয়টা গাছ আছে, কয়টা জলাধার আছে? আমি যে মানুষকে আত্মহত্যাপ্রবণ প্রজাতি বলি, সেটা কি আর সাধে। যেখানে আমরা থাকবো, সেখানেও গাছ রাখি না, জলাধার রাখি না। রাস্তার পাশে কোনো গাছ নেই, রোড ডিভাইডারে কোনো গাছ নেই।
ঢাকা ছিল সৃষ্টিকর্তার এক আশীর্বাদ। ঢাকার চারপাশে চমৎকার সব নদী ছিল—বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, তুরাগ, বালু। দখলে-দূষণে সেই নদীগুলো এখন মৃতপ্রায়। ঢাকা যে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত, সেই বুড়িগঙ্গার পানিতে এখন অক্সিজেনের এতটাই অভাব, মাছও সেখানে বাঁচতে পারে না। বাণিজ্যের প্রয়োজনে আমরা মাকে হত্যা করতেও আমরা পিছ পা হই না।
আরও পড়ুন >>> বিশ্ব পরিবেশ দিবস : আমাদের ব্যর্থতা ও করণীয়
ঢাকায় একসময় জালের মতো বিছানো খাল ছিল। এখন খালের অস্তিত্ব নেই, আছে কিছু নালা, তাও আবর্জনায় বন্ধ প্রায়। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার একটা ভারসাম্যপূর্ণ প্রকৃতি। বাংলাদেশ সরকারের একটি পরিবেশ মন্ত্রণালয় আছে। মানুষ সত্যি সত্যি বুদ্ধিমান প্রাণী হলে পরিবেশ মন্ত্রণালয় হতো সবচেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু বাংলাদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় হলো দুধভাত। ‘শক্তিশালী’ মন্ত্রণালয়গুলো পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাত্তা না দিয়ে অরণ্য কেটে সেখানে ভবন বানাচ্ছে, অফিস বানাচ্ছে।
মানুষকে আর সাধে আমি আত্মহত্যাপ্রবণ প্রজাতি বলি। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, শুধু মানুষ বোঝে না। আচ্ছা আপনার না হয় এসি কেনার সামর্থ্য আছে। আপনার সন্তান বা তার সন্তান বা তার সন্তানের তো এসি কেনার সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। আপনি যে তার জন্য একটা উষ্ণ পৃথিবী রেখে যাচ্ছেন, আপনার একটুও গ্লানি বোধ হয় না? যত অর্থই থাকুক আপনি গোটা শহরের, গোটা দেশের, গোটা বিশ্বের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
বিশ্বকে বাঁচাতে হলে কী করতে হবে, সেটা কিন্তু আমরা ভালোই জানি। কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়ে, ক্লাইমেট চেঞ্জের ধকল সামলানো নিয়ে বছর বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করি আলোচনার নামে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করি না। প্রতিদিনই আমরা গাছ কাটছি, জলাধার ভরাট করছি এবং প্রকৃতি আরও উষ্ণ হচ্ছে।
ধানমন্ডি একটা ছিমছাম আবাসিক এলাকা ছিল। এখনো নামে সেটি আবাসিক এলাকা বটে, তবে সেখানে বাণিজ্যের বসতি বেশি। ধানমন্ডি মূলত ঢাকার দুটি বড় ও পুরোনো রাস্তার মাঝখানে গড়ে ওঠা। ধানমন্ডির পূর্বদিকে আছে মিরপুর রোড, পশ্চিমে সাত মসজিদ রোড।
মূলত ঝিগাতলা মোড় থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটি সাত মসজিদ রোড হিসেবে পরিচিত। যদিও সাত মসজিদ মোহাম্মদপুর পেরিয়ে আরেকটু সামনে অবস্থিত। ঢাকার অন্যতম পুরোনো এই রাস্তার অন্যরকম সৌন্দর্য আছে। বাণিজ্যের চাপে দুই পাশের গাছপালা উজাড় হয়ে গেলে এই রাস্তার সড়ক বিভাজকটি ছিল সবুজের আধার।
আরও পড়ুন >>> পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের ভূমিকা কী?
মোটামুটি দুই কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই ডিভাইডারে বড় বড় গাছ থাকায়, পুরো এলাকায় একটা ছায়া সুনিবিড়, শান্তির নীড় ভাব ছিল। কিন্তু সেই ভাবটা পছন্দ হয়নি আমাদের নগর পরিকল্পকদের। সড়ক বিভাজকের উন্নয়ন এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে সাত মসজিদ রোডের সড়ক বিভাজকে থাকা সব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
২০ মে ২০২৩, সেই রাস্তায় গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মোহাম্মদপুর অংশে কিছু গাছ এখনো বাকি থাকলেও ধানমন্ডি অংশের গাছ সব কেটে ফেলা হয়েছে। এমন ন্যাড়া সড়ক দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই রাস্তায় গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আন্দোলন-বিক্ষোভের মুখে তখন গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পহেলা মে থেকে আবার নতুন উদ্যমে গাছ কাটা শুরু হয়।
বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও ব্যক্তি গাছ কাটার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন। এমনকি মধ্যরাতে গাছ কাটার প্রতিবাদে মধ্যরাতেই তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কোনোকিছু পাত্তা না দিয়ে গাছ কাটা চলছে। এরই মধ্যে নবনির্মিত সড়ক বিভাজকে কিছু ছোট ফুল গাছও লাগানো হয়েছে।
গাছ যে প্রকৃতি শীতল রাখে, পানি যে প্রকৃতি শীতল রাখে; এটা বুঝতে বিজ্ঞানী হতে হয় না। কিন্তু আমরা বিজ্ঞানীর চেয়েও বেশি চালাক, আমাদের মাথায় টনটনে বাণিজ্য...
পত্রিকায় দেখলাম সড়কের সৌন্দর্য বাড়াতে সড়ক বিভাজকে রঙ্গন, কামিনী, বাগানবিলাস, চন্দ্রপ্রভা, কাঞ্চন ফুল গাছ লাগানো হবে। এই সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যয় হবে সাড়ে ১০ লাখ টাকা। এই গাছগুলো বড় হলে সৌন্দর্য হয়তো বাড়বে, কিন্তু ছায়া হবে না। আগের বড় গাছগুলো যেমন ধানমন্ডিকে ঠাণ্ডা রাখতো, নতুন ফুলের গাছে তেমনটি হবে না।
গণমাধ্যমে দেখলাম, সড়কদ্বীপ, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্য বাড়াতে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেই প্রকল্পের অধীনেই সাত মসজিদ রোডে নতুন সড়ক বিভাজক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম কথা হলো, সাত মসজিদ রোডের সড়ক বিভাজক ঠিকই ছিল। প্রয়োজনে কিছু মেরামত করা যেতে পারতো। তারপরও সড়ক বিভাজক বানাতে হলে গাছ কাটতে হবে কেন, এটার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা আমার চোখে পড়েনি।
যত যুক্তিই থাকুক, সব উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে গাছ টিকিয়ে রেখে। প্রয়োজনে সড়ক বিভাজক একটু ঘুরিয়ে নিতে হবে, কিন্তু একটি গাছও কাটা যাবে না। এটাই উন্নয়নের ধারণা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা আগে সব গাছ কেটে তারপর সড়ক বিভাজক বানাচ্ছি। প্রকৃতি বাঁচিয়ে উন্নয়ন করতে না পারলে, একদিন এই ঢাকায় বাস করা মুশকিল হবে আমাদের জন্য।
আরও পড়ুন >>> বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ কী?
যখন দেখলাম ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রকল্প, তখনই বুঝেছি, এটা আটকানোর সাধ্য কারও নেই। আসলে প্রকল্পটা বানানোই হয়েছে টাকার জন্য। এখানে গাছ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। নেটিভ আমেরিকান একটি প্রবাদ আছে—‘যখন শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, শেষ মাছটি খেয়ে ফেলা হবে, শেষ জলাধারটি বিষাক্ত হবে, তখন বুঝবে টাকা খাওয়া যায় না।’
আমাদের নীতিনির্ধারকরা কবে যে বুঝবেন, টাকা আসলে খাওয়া যায় না। যখন আমাদের আরও বেশি করে গাছ লাগানো দরকার, তখন আমরা গাছ কাটছি। আমাদের রক্ষা করবে কে?
নীতিনির্ধারকদের টনক নড়েনি, তবে গাছ কাটার প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে, আন্দোলন হচ্ছে। শিল্পী কবির সুমনের অনেক গানই আমার প্রিয়। তার একটি গান আছে, ‘আমি চাই গাছ কাটা হলে শোক সভা হবে বিধান সভায় আমি চাই প্রতিবাদ হবে রক্ত পলাশে রক্ত জবায়।’ ধানমন্ডিতে গাছ কাটার প্রতিবাদে সংসদে শোকসভা হয়নি। তবে প্রতিবাদ হচ্ছে, প্রতিবাদ হবে।
অন্তত নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকতে হলেও প্রতিবাদ করতে হবে। উত্তর প্রজন্ম যখন জবাব চাইবে, গাছ কেটে কেটে এই ঢাকাকে যখন বাসের অযোগ্য উত্তপ্ত চুল্লি বানানো হচ্ছিল, তখন তোমরা কী করছিলে? অন্তত তখন বলতে পারবো, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম।
প্রভাষ আমিন ।। বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ