অপরাধের কারণ চিহ্নিত করতে না পারার ব্যর্থতা কার?
আইনের ভাষায় অপরাধ এমন কাজ, যা আইন বহির্ভূত ও পরিপন্থী। যা সম্পাদনের ফলে রাষ্ট্র সেই অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। অপরাধ সেই ধরনের কাজ, যা আমাদের সমাজব্যবস্থায় অনেকাংশে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে আমরা দেখছি অপরাধ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। সেই সাথে অপরাধীরাও তাদের অপরাধ সংগঠনের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।
আমরা যদি কিছু পরিসংখ্যান লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই, ২০২১ সালে ডিএমপির আট বিভাগে অপরাধের মামলা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬১টি। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মাদক নিয়ে। এরপর রয়েছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা। ডিএমপি এলাকায় গত বছর ১৬৬টি খুনের ঘটনা ঘটে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩টি কম।
বিভিন্ন অপরাধে ২০২১ সালে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৫০ হাজারের মতো ব্যক্তি। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৪২ হাজার ৩৬৯। ওই বছর ডিএমপিতে ২২ হাজার ৬৭৩টি মামলা হয়। শুধু ২০২১ নয়, আগের বছরের অপরাধ প্রবণতা বিশ্লেষণেও ওয়ারী, মিরপুর ও গুলশানে খুনের ঘটনা বেশি দেখা গেছে।
২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছিল মিরপুর ও গুলশানে। ওই বছর এ দুই বিভাগে ৩৩টি করে খুনের ঘটনা ঘটে। আর ওয়ারীতে সংখ্যাটি ছিল ৩২টি। ডিএমপির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অপরাধের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে তেজগাঁও বিভাগের আওতাধীন এলাকায়। ওই এলাকায় ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, সিঁধেল চুরি, গাড়ি চুরি ও মাদক উদ্ধারের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
তেজগাঁও বিভাগের অধীন থানা ছয়টি হলো—তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল, শেরেবাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুর। এসব পরিসংখ্যান বেশ উদ্বেগজনক বাংলাদেশের জন্য। কারণ অপরাধ বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যদি যথেষ্ট তৎপর না হয় তাহলে এদেশের ভবিষ্যৎ হবে ভয়াবহ।
বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ:
সামাজিক বৈষম্য: সামাজিক বৈষম্য আমাদের সমাজে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি হিসাব মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫.৩০ শতাংশ মানুষ বেকার যা আগের বছরের তুলনায় ১.১০ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, ধনীরা দিন দিন আরও বেশি সম্পদশালী হচ্ছে এবং দরিদ্ররা আরও বেশি দরিদ্র। ফলে শ্রেণিবৈষম্য মারাত্মক আকার ধারণ করছে, যার ফলে সামাজিক চাপ (সোশ্যাল স্ট্রেইন) বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
২০২১ সালে ডিএমপির আট বিভাগে অপরাধের মামলা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬১টি। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মাদক নিয়ে। এরপর রয়েছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা।
সামাজিক নিরাপত্তার অভাব: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তার অভাব অনেক বেশি। রাজধানী ঢাকাতেই অনেক স্থানে সন্ধ্যার পর নির্জন হয়ে যায়। সেখানে নিরাপত্তার অভাবে সহজেই অপরাধ ঘটে।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ভোরবেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার অনুপস্থিতির সুযোগে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
সামাজিক অবক্ষয় ও মানবিক গুণাবলী: শিল্পায়ন, নগরায়ন ও শহরের যান্ত্রিক জীবনযাপনের দরুন আমাদের মধ্যে ব্যক্তিবাদ (ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক) মনোভাবের উদ্ভব হয়েছে। যার ফলে আমরা নিজেদের নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকি যে, সমাজের অন্যদের সাথে মেলামেশা, সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকা এরূপ মানবিক গুণাবলী আমাদের মধ্যে প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে। এধরনের মানসিকতা যখন একটি সমাজে প্রকট আকার ধারণ করে তখন সেই সমাজের ভেতর নৈতিক মূল্যবোধের ঘাটতি, রেষারেষি, অপরাধ ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।
করোনা মহামারি: বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয়েছে ৮ মার্চ ২০২০। করোনা মহামারির প্রভাব ঠেকানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউনের ফলে অনেকের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হয়, আর্থিক সংকট দেখা দেয়।
বাংলাদেশের পুরুষেরা পূর্বের তুলনায় বেশি সময় বাড়িতে থাকা শুরু করেছে করোনা মহামারির ফলে। ফলে পুরুষেরা নারীদের উপর নির্যাতন বেশি করছে। এছাড়া আর্থিক সংকটের ফলে চুরি, ডাকাতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি এই সময় ধর্ষণ ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও করোনা মহামারির জন্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন অনেকটাই সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার সাথে আমাদের দেশের বহু পুরনো সমস্যা ‘সম্পদের অসমবন্টন’-তো রয়েছেই। এসব মিলিয়ে অনেকেই চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বেছে নিচ্ছে।
সঙ্গদোষ: একটি শিশু মূলত তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি যদি অপরাধপ্রবণ হয় তাহলে শিশু সহজেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একটি শিশু মাদকাসক্ত হয় মূলত সঙ্গদোষের কারণে। এছাড়া কোনো পরিবারে যদি গৃহ নির্যাতনের মাত্রা বেশি থাকে সেই পরিবারের শিশু গৃহ নির্যাতন করতে উদ্বুদ্ধ হয়। এভাবে অপরাধ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা: বর্তমানে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শিশু-কিশোরেরা সহজেই মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া মাদক কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করার জন্য ও শিশু কিশোরেরা খুনসহ নানা ধরনের অপরাধ করছে। মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
করোনা মহামারির জন্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন অনেকটাই সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার সাথে আমাদের দেশের বহু পুরনো সমস্যা ‘সম্পদের অসমবন্টন’-তো রয়েছেই। এসব মিলিয়ে অনেকেই চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বেছে নিচ্ছে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি ও পাশ্চাত্য মিডিয়ার প্রভাব: বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা বই-কেন্দ্রিক জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাছাড়া আমাদের দেশের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠায় শুধুমাত্র ভালো নম্বর পাওয়ার আশায়, যার ফলে সন্তানেরা নৈতিক শিক্ষা পাচ্ছে না এবং ভালো-মন্দের বিচারে অনেকটাই অপারগ।
অপরদিকে পাশ্চাত্যের মিডিয়ার প্রভাব অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন ধরনের টিভি-সিরিজ দেখে বাংলাদেশের শিশু-কিশোরেরা সহজে অপরাধ করার আগ্রহ পায়।
আইনের অপব্যবহার ও অপ্রতুলতা: বাংলাদেশে অপরাধ দমনের জন্য বিভিন্ন ধরনের আইন অব্যাহত আছে। যেমন, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, পুলিশ রেগুলেশন আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব আইনের কার্যকরী প্রয়োগ হচ্ছে না।
এছাড়া কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে পুলিশ সময়মত কেস ফাইল করে না অথবা তদন্তে দেরি করতে থাকে। এছাড়া ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা তো আছেই। আইনের অপব্যবহারের ফলে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো বাংলাদেশে কোনো ‘ভিকটিম অ্যান্ড উইটনেস প্রটেকশন আইন’ নেই।
ফলে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সেটি আদালত পর্যন্ত পৌঁছালেও বাদী ও সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে না, যার ফলে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় অপরাধী বা অপরাধীর পরিবার বিভিন্নভাবে বাদী ও সাক্ষীর উপর চাপ প্রয়োগ করে। তাই এদেশের অনেক মামলাই উপযুক্ত প্রমাণ ও সাক্ষীর অভাবে ন্যায়বিচারের মুখ দেখতে পায় না।
ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দোষারোপের মনোভাব: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দেখা যায়, আমাদের দেশে কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে অপরাধীকে কোনো দোষারোপ করা হয় না বা সমাজে তার শাস্তির জন্য আলোকপাত করা হয় না কিন্তু যে ব্যক্তি ভিকটিম তাকে ঐ অপরাধের শিকার হওয়ার জন্য দোষারোপ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ১৯৯৯-২০০০ সালে নারীদের উপর এসিড আক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। তখন নারীদের চালচলনকেই এসিড আক্রমণের জন্য দোষারোপ করত।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়।
বর্তমানে, ধর্ষণ একটি অন্যতম অপরাধ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমাদের সমাজ ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক, চালচলনকে দায়ী করে। কিন্তু ধর্ষককে কোনো প্রকার দোষারোপ করে না। ধর্ষিতা নারীর পরিবারকেও নানা ধরনের কটূক্তির শিকার হতে হয়। ফলে ধর্ষিতা নারীরা আইনের পদক্ষেপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। ভিকটিমকে দোষারোপ করার ফলে অপরাধ আইনের সম্মুখে আসতে পারে না তাই অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এর ফলে মূলত কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা বলতে সংশোধনমূলক কার্যক্রমের অপ্রতুলতা, দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিচারব্যবস্থা, কারাগারের অব্যবস্থাপনা, পাকা বা গুরুতর অপরাধীদের সাথে কিশোর অপরাধী এবং নতুন অপরাধীদের এক সেলে রাখা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ইত্যাদি।
এসব অব্যবস্থাপনার জন্য কোনো অপরাধী একবার কারাগারে থেকে বের হলেও সে পরবর্তীতে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ফলে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি টিপু হত্যাকাণ্ডের সময় আততায়ীর গুলিতে কলেজছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলেও মূলহোতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, নিষ্পাপ একটি মেয়ের অকালে প্রাণ ঝরে যাওয়া এবং তার পরিবার থানায় কোনো মামলা করার অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোর উপর সাধারণ জনগণের অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা: সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষ সহজে এর অপব্যবহার করছে। যার ফলে সাইবার ক্রাইম, অনলাইন হ্যারাসমেন্ট, সাইবার বুলিং, পর্নোগ্রাফিসহ অনলাইন ভিত্তিক অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে উত্তরণ করা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ বাস্তবায়ন, মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প, পুরো দেশকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আশা, ইন্টারনেট সুবিধা ফোরজি থেকে ফাইভজির আওতায় আনা ইত্যাদি বহু উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষের মধ্যে যেভাবে নৈতিকতার অবক্ষয় ও সুবিধাভোগের মানসিকতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং তার ফলাফল হিসেবে অপরাধ ও নৃশংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে নিকট ভবিষ্যতে এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় বাধা হিসেবে প্রতীয়মান হবে।
একটি সমাজ থেকে অপরাধ কোনোভাবেই নির্মূল করা সম্ভব নয়, প্রাচীনযুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা একটি রাষ্ট্রব্যবস্থায় অবশ্যই সম্ভব। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত এদেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আরও তৎপর ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এবং একই সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করে অপরাধ নির্মূলের জন্য উদ্যোগ তৈরি করা সময়ের দাবি।
খন্দকার ফারজানা রহমান ।। চেয়ারম্যান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়