সম্পর্ক জোরদারে হাইকমিশনারের প্রশংসা মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের প্রশংসা করেছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ’র সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার নাজমুল হাসান। এ সময় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হাইকমিশনারের প্রশংসা করেন।
হাইকমিশন জানায়, সাক্ষাতে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার ছাড়াও মালদ্বীপের মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন সলিহ। হাইকমিশনার করোনা মহামারিতে মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসহ নানা সহযোগিতা ও বাংলাদেশকে টিকা উপহার দেওয়ায় দেশটির রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
২০২০ সালের মার্চে মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নাজমুল হাসানকে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রায় দুই বছরের কম সময় দায়িত্ব পালন শেষে শিগগিরই তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল গত বছর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমের বাংলাদেশ সফর। তাছাড়া তার মেয়াদেই গত বছরের ডিসেম্বরে মালদ্বীপে দ্বিপাক্ষিক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে ঢাকা ও মালের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তিসহ স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান (নবায়ন) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং উভয় দেশের যুব ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। উভয় দেশের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে আলোচনাও ছিল উল্লেখযোগ্য। যদিও বিষয়টি এখনও আলোচনাধীন।
এছাড়া হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনের সময় করোনা মহামারির ধাক্কায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখভাল করেছেন নাজমুল হাসান। বিশেষ করে, করোনার শুরুর দিকে বিশ্বে যখন টালমাটাল অবস্থা, তখন দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধান করেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে হাইকমিশনার বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সেবা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
এনআই/এসএসএইচ