কাজের মান দেখতে নিজেই ড্রেনে নামলেন মেয়র আতিক, ছবি ভাইরাল
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বসিলা সংলগ্ন লাউতলি খালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত তিনদিন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে খালের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খাল খননের কাজ শুরু করেছে ডিএনসিসি।
এদিকে বসিলা সংলগ্ন লাউতলি এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন। এই ড্রেনের কাজের মান দেখতে গতকাল হঠাৎ নিজেই ড্রেনে নেমে পড়েন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেই ছবি কেউ একজন ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।
আজও (বুধবার) অনেকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় অনেকে মেয়রের এমন কাজের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশংসা করছেন, আবার অনেকেই এ বিষয়ে সমালোচনা করে পোস্ট করেছেন।
ছবিটির বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান জানিয়েছেন, সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গতকাল লাউতলা এলাকায় নিজেই ড্রেনে নেমে কাজের মান ও সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখেন।
নাছির উদ্দিন তন্ময় নামের একজন ফেসবুকে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, পরিবর্তন চলছে চলবেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এমন একজন, যিনি নগর উন্নয়ন তথা নগরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে নিজের চোখে কাজের অগ্রগতি না দেখা পর্যন্ত তৃপ্তি পান না। সশরীরে পরিদর্শনের মাধ্যমেই পরখ করেন উন্নয়নকাজের গুণগত মান।
এস এম মুশফিক আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, এই ছবিগুলো আগামী প্রজন্মকে শেখায়! এই লোকটি হচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বছিলা গিয়েছিলেন বেদখল হওয়া খাল উদ্ধারের কাজে। আসার পথে মোহাম্মদপুরে হঠাৎ লক্ষ্য করলেন ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। তাই ড্রেনের ভিতরের অংশে কাজের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য নিজেই নেমে পড়লেন চেক করার জন্য।
তবে অনেকে সমালোচনা করে লিখেছেন, এসব লোক দেখানো। ড্রেনে কেন আপনি ঢুকবেন?
তৌফিক আহমেদ নামের একজন ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, অভিনয় এবং ফটোশুট করলেন মেয়র আতিক। ড্রেনটা ছিল নবনির্মিত। পরিষ্কার ড্রেনে নেমে ছবি তোলাই আসল ব্যাপার।
ফেসবুকে অন্য আরেকজন ছবিগুলো পোস্ট করে প্রশ্ন করেছেন, সেবা দেওয়ার জন্য ড্রেনে নেমে ছবি তুলতে হয় না, অফিসে বসেই উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে তদারকি করা যায়।
এএসএস/এইচকে