এমবিবিএস পরিচয়ে বাসাবো হাসপাতালে রোগী দেখত এইচএসসি পাস মাসুদ
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুদ (৩৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার মাসুদ এইচএসসি পাস করা সত্ত্বেও এমবিবিএস ভুয়া ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগী ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।
র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, ঢাকা মহানগরীর সবুজবাগ থানাধীন মধ্য বাসাবো এলাকায় সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুদ নামের ব্যক্তি নিজেকে এমবিবিএস (ডিইউ) পি.জি.টি (মেডিসিন ও শিশু) মেডিসিন ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ, চর্ম, যৌন, নাক, কান ও গলা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে ভুয়া পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে আসছিল।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে রোগ শনাক্ত করার নামে রোগীদের অযথা বিভিন্ন পরীক্ষার নির্দেশনা দিতেন তিনি। এছাড়া ক্যামেরা যুক্ত একটি কলম ব্যবহার করতেন, যার বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। তার নির্দেশনা পত্র এবং পরীক্ষাগুলোর নাম ক্যামেরা সংযুক্ত কলমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির রেকর্ডে চলে যেত।
এর মাধ্যমে তিনি কোম্পানিগুলো থেকে বড় অংকের অবৈধ অর্থ পেতেন। গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানে সত্যতার ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ দল সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতালে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেওয়া মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুদকে গ্রেফতার করে।
অভিযানে মাসুদের চেম্বার থেকে একটি নেমপ্লেট, ৫০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২৫টি বিভিন্ন প্রকার সিল, ২০০টি প্রেসক্রিপশন, ২টি মোবাইল ফোন, একটি গোপন কলম ক্যামেরা এবং নগদ ৪ হাজার ৮৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ জানান, তিনি বরিশালের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। এমবিবিএস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ ডাক্তারি সনদপত্র নেই তার। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
জেইউ/এসএসএইচ
