উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটিরই দাবি গাড়ি তাদের নয়
মোহাম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ময়লার গাড়িটি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কারোরই নয় বলে দাবি করছে সংস্থা দুটি! বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে দুই করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কার্যক্রমে কিংবা করপোরেশনের অন্য কোনো কার্যক্রমে ‘যশোর ট-১২৩৬’ ক্রমিকের কোনো গাড়ি ব্যবহার করা হয় না। এমনকি করপোরেশনের গাড়ির যে তথ্যভাণ্ডার রয়েছে তাতেও এ ধরনের কোনো গাড়ির তথ্য-উপাত্ত নেই। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থল হিসেবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট স্থানটিও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা নয়। সুতরাং এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, কথিত ময়লার গাড়িটি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন নয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি বা মহল অসাধু উদ্দেশ্য সাধনে কোনো সংস্থার নাম কাগজে কিংবা স্টিকারে ছাপিয়ে তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিকানা বহির্ভূত অন্য কোনো গাড়িতে সেঁটে দিলেই সেই গাড়িটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার গাড়ি হয়ে যায় না। আর প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই না করে, অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কারো মৌখিক প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য শতভাগ বস্তুনিষ্ঠ হবে – এ ধরনের নিশ্চয়তা বিধান করে না। কারণ অপরাধী ব্যক্তি মাত্রই নানা ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে থাকে। এ অবস্থায় শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের ভুল তথ্য সরবরাহ না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যে গাড়ির ধাক্কায় একজন বৃদ্ধা আহত হয়েছেন সেই গাড়িটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নয়।
এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আল্লাহ করিম মার্কেটের সামনে ময়লাবাহী গাড়ি একটি যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের যাত্রী আরজু বেগম (৬৫) নামে এক নারী আহত হন। এ ঘটনায় ময়লাবাহী গাড়ির চালক রতনকে আটক করেছে পুলিশ।
এএসএস/এসকেডি/জেএস