নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণে রাখছে ইইউ
বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচন কোনো ইভেন্ট নয়। এটি একটি প্রসেস। জাতীয় নির্বাচন হতে এখনও দুটি বছর আছে। বাংলাদেশ ভোট দেওয়ার চর্চা অব্যাহত রাখবে। ইইউ বাংলাদেশের ভোট ও নির্বাচনের ওপর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। চাপ সৃষ্টি নয়, একাধিক কারণে নির্বাচনে দৃষ্টি আছে বিশ্বের।’
ইইউর রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনীতি এবং উন্নয়নের পাওয়ার হাউস। যে কারণে এ দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র, ভোটসহ সার্বিক বিষয়ে বিশ্বের আগ্রহ আছে। আসন্ন নির্বাচন কেমন হচ্ছে এ বিষয়ে বিশ্বের আগ্রহ আছে মানেই এ নয় যে তারা এ ভোটে হস্তক্ষেপ করতে চায়।’
বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় দুই বছর বাকি। তবে এখনই নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দলগুলো। শুধু সরকারি বা বিরোধী দলগুলোই নয়, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকরাও গণমাধ্যমে কথা বলা শুরু করেছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে ইইউ। মিয়ানমারের ওপর বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের যেন মিয়ানমার ফেরত নেয় সেজন্য আন্তর্জাতিক চাপও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউর রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে ইইউ খোলামেলা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
দুর্গাপূজা এবং তার পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইটলি বলেন, ইইউ এ বিষয়ে দৃষ্টি রেখে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে ইইউ। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, সংখ্যালঘু জনগণকে অবশ্যই নিরাপত্তা দিতে হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত জানান, ১২ বছর আগে যে বাংলাদেশ দেখেছিলাম, বর্তমান বাংলাদেশ অবকাঠামো দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে।
অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি পান্থ রহমান ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।
এনআই/এসএসএইচ