সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশের দাবি নুরের
চট্টগ্রামসহ দেশের সব সাম্প্রদায়িক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের ঘটনায় আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে ওই ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাইনি। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা দাবি করেছে।
রোববার (২৪ অক্টোবর) যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে নূর বলেন, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নানুয়ার দিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননা এবং পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার ও প্রশাসন এড়াতে পারে না।
নুর বলেন, চট্টগ্রামে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলা চেষ্টার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত না করে ৬ মাস ধরে কারাগারে থাকা ৩ বিএনপি কর্মীকে মণ্ডপে হামলা চেষ্টার মামলার আসামি করা হয়েছে। ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদের ৮ নেতা-কর্মীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি এবং পরে মামলায় জড়িয়ে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কেউ জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টায় জড়িত থাকলে সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা একটি ৯ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। ওই কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ঝুনু রঞ্জন দাস; সাদ্দাম হোসেন; অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা; প্রকৌশলী খোয়াই চিং মংচাক; মো. নিজাম উদ্দীন; আজহারুল ইসলাম (পাঠান আজহার); ফাতেমা তাসনিম; আরিফুল ইসলাম তায়েফ এবং প্রাপ্ত বড়ুয়া।
এমএইচএন/জেডএস
