করোনায় মারা যাওয়া ৫২ শতাংশই ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপের রোগী
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে (সংক্রমণের ৩৭তম সপ্তাহ) ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ কো-মরবিডিটি রোগে আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশে করোনা সংক্রমণের ৩৭তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে মৃত্যুবরণকারী ২৯৪ জনের মধ্যে ১৫২ জনের কো-মরবিডিটি ছিল। যা শতকরা হিসেবে ৫১.৭০ শতাংশ। আর কো-মরবিডিটি নিয়ে করোনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৪.৪৭ শতাংশ ডায়াবেটিস, ৬৩.৮২ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ, ১১.৮৪ শতাংশ বক্ষব্যাধি, ১১.১৮ শতাংশ হৃদরোগ, ১৩.১৬ শতাংশ কিডনিজনিত রোগ, ২.৬৩ শতাংশ লিভারজনিত রোগ এবং ৩.২৯ শতাংশ স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিল।
এছাড়াও ১.৯৭ শতাংশের নিউরোলজিক্যাল রোগ, ৪.৬১ শতাংশের থাইরয়েডজনিত রোগ, ২.৬৩ শতাংশের রক্তজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এতে বলা হয়েছে, লিঙ্গ বিবেচনায় গত এক সপ্তাহে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫৪ জন, যা শতকরা হিসেবে ৫২.৩৮ শতাংশ। এবং নারী ছিলেন ১৪০ জন, যা শতকরা হিসেবে ৪৬.৭৫ শতাংশ। আর নারী মারা যাওয়াদের মধ্যে ২ জন ছিলেন গর্ভবতী।
এপিডেমিওলজিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায়, গত সপ্তাহে (৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর) দেশে ১৫ হাজার ৯৫৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যা এই সপ্তাহে কমে ১২ হাজার ২৭০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার কমেছে -২৩.১১ শতাংশ।
এছাড়াও গত সপ্তাহে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬৮ জন। আর এই সপ্তাহে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯৪ জনের। শতকরা হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃতের হার কমেছে -২০.১১ শতাংশ।
দেশে করোনার সবশেষ চিত্র
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি ১১৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল গত ২৭ মে। সেদিন মারা যান ২২ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২৫১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জনের। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
টিআই/জেডএস