এডিস মশারও লাইসেন্স দিচ্ছে বিআরটিএ : মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে মশক নিধনে বিশেষ অভিযান পরিদর্শনকালে বিআরটিএতে উপস্থিতি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মিরপুরের বিআরটিএ অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে, অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে। এ জন্য নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, কারও একার পক্ষে এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিস কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর এই ৬টি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশক নিধনে আজ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ওই বাড়িসহ তার আশপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ফুটপাত কিংবা রাস্তা দখলের অধিকার কারও নেই, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তাই যারা ফুটপাত কিংবা রাস্তা দখল করে রেখেছেন তাদের নিজ দায়িত্বে দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশনায় বিআরটিএ অফিসের পেছনে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটগুলো স্থানীয় জনগণের সহায়তায় গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে আয়োজিত জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে হবে।
এএসএস/এসকেডি