ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিলে তৈরি হতে পারে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি
ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় না থাকলেও মারাত্মক রূপ নিলে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শনিবার (১০ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় আসেনি। এডিস মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অল্পসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিলে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, নাগরিকরা যদি তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন না করেন, সিটি করপোরেশন একক প্রচেষ্টায় সব সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি করি তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে কীভাবে মশামুক্ত নগর উপহার দেওয়া সম্ভব? তাই সবাই মিলে একত্রে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি নিজের বাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, বিশেষ করে নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত ভবনের বেসমেন্ট, ছাদে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করে তাহলে এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু নির্মাণাধীন ভবনে অনেকেই তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করেন না।
তিনি বলেন, উভয় সিটি করপোরেশনে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়র-কাউন্সিলরা যখন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিটি এবং নগরবাসীর অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত হবে। সবক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততা করতে পারলে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।
ঢাকার উভয় মেয়র শহরবাসীকে মশামুক্ত রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানীতে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগী কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সে কারণে জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুধু রাজধানী নয় সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ অর্থাৎ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এসএইচআর/এসকেডি
