জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোর কোন কোন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তা আমরা চিহ্নিত করতে কাজ করেছি। এ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। আগের ওয়ার্ডগুলোর পর নতুন ওয়ার্ডগুলোতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে ডিএনসিসি।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে গুলশানে ডিএনসিসি নগরভবনে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আগের ৩৬টি ওয়ার্ডের পানি নামতে বাধা সৃষ্টি হওয়া ৬টি জায়গাকে আমরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। গত কিছুদিন ধরে এই ৬টি স্থানের সমস্যা সমাধানে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে ভালো একটি অবস্থানের মধ্যে আনতে চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে আমরা প্রতি সোমবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিয়মিত মিটিং করি। কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির সময় ব্যাপকভাবে পানি জমে এই স্থানগুলো সম্পর্কে আমরা যদি জানি তাহলে আমদের কাজ করতে সুবিধা হবে। তাই আমরা কিছু কিছু প্ল্যান করে ফেলেছি। এখন সময় এসেছে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের কাজ করার। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কাজ করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু করোনাকালের জন্য আমরা কাজগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনও পারিনি। এক বছর আমরা পিছিয়ে গেছি এই কারণে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, পুলিশ প্লাজার পেছনের দিকে যে জায়গাগুলো আছে সেখনকার খালগুলোকে কীভাবে আরও চওড়া করা যায় এ বিষয়ে আমি পুলিশ-আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। জলাবদ্ধতার বিষয়ে এর সমস্যা যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি, যদি বুঝতে পারি রোগটা কোথায়, তাহলে কিন্তু আমরা সেই হিসেবে ট্রিটমেন্টও দিতে পারব। আর চিহ্নিত করতে না পারলে হাজার জায়গা খুঁজে কিন্তু লাভ নেই। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছি, সে অনুযায়ী কাজও চলছে আমাদের। পুরো কাজ শেষ করা গেলে আশা করা যায় আমরা জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান করতে পারব।
সভায় নতুন ১৮ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে তাৎক্ষণিকভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব, জরুরি রাস্তা মেরামত, পানি নিষ্কাশন সমস্যা সামাধানের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ১০ লাখ টাকা করে থোক বরাদ্দ দিয়েছে সংস্থাটি।
থোক বরাদ্দ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান নিশ্চিত করা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতি ওয়ার্ডে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিএনসিসির সচিব মোহম্মাদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সভাপতি, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীকে (পুর) সদস্য সচিব এবং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহ-সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)।
জানা গেছে, ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে প্রতি ওয়ার্ডে ১০ লাখ করে থোক বরাদ্দের টাকা তিন কিস্তিতে ছাড় করা হবে। প্রথম কিস্তিতে ৪ লাখ টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে ৩ লাখ করে ছাড় করা হবে।
এএসএস/জেডএস