মেঘ-বৃষ্টি দেখলেই জলাবদ্ধতার ভয় রাজধানীবাসীর
জলাবদ্ধতা রাজধানীবাসীর কাছে তিক্ত এক অভিজ্ঞতার নাম। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় রাজধানী। তখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোথাও জমে হাঁটুপানি, আবার কোথাও কোমরপানি। কিছু সময় টানা বৃষ্টি হলেই মূল সড়কসহ ডুবে যায় শহরের বড় অংশ। এ সমস্যা দীর্ঘদিনের।
এর মধ্যে গত বছরের শেষ দিনে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়। এরপর জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হাঁকডাক দিলেও এ বছরও জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পাননি রাজধানীবাসী। তাই আকাশে মেঘ জমতে দেখলে বা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার ভয়ে আতঙ্কে থাকেন রাজধানীবাসী।
মিরপুরের কাজীপাড়ার প্রধান সড়কের পাশেই একটি বাড়ির মালিক হাজি মনির হোসেন। জলাবদ্ধতার ভোগান্তির তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই আমাদের এই সড়কে হাঁটু পানি কখনও কোমর পানি জমে যায়। মুষলধারে বৃষ্টি হলে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, কিন্তু আমাদের মিরপুর এলাকার মানুষের এই সমস্যা আর ভোগান্তি বেশি পোহাতে হয়। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই বা বৃষ্টি শুরু হলেই ভয় লাগে, মনে হয় এখনই জলজটে নাকাল হতে হবে।
রাজধানী খিলক্ষেত রেল লাইন পাড় হয়ে সামনের দিকের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন সাইদুর রহমান নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি জলাবদ্ধতার বিষয়ে বলেন, বৃষ্টি মানেই এই এলাকায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ। শুধু এই এলাকা নয়, রাজধানীতে একটি বড় অংশে সবাইকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বৃষ্টি নামলেই। বর্ষাকালে প্রতিটি দিন ভয়ে থাকি, কখন বৃষ্টি হয় কারণ বৃষ্টি মানেই তো জলাবদ্ধতা। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই সব কিছুর ছন্দপতন হয় রাজধানীতে। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। জলাবদ্ধতা হবে না বলে সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিলেও তা কিন্তু একেবারেই কমেনি। তারা খাল, জলাশয়, ড্রেন পরিষ্কার করছে বলে প্রতিদিনই খবরে দেখি, কিন্তু রাজধানীবাসীর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি কমতে দেখলাম না।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে প্রধান ড্রেন লাইনগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। আর শাখা লাইনগুলোর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত ছিল। ওই সময় রাজধানীর মোট ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে ৩৮৫ কিলোমিটার ঢাকা ওয়াসার অধীনে ও প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে ছিল। এর বাইরে ৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২৬টি খাল ও ১০ কিলোমিটার বক্স কালভার্টের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল ঢাকা ওয়াসার। যে কারণে বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলো একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে আসছিল।
কিন্তু গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের হাতে ছিল। এরপর পৌরসভা এ দায়িত্ব পালন করত। ১৯৮৮ সালে এটি ঢাকা ওয়াসাকে হস্তান্তর করা হয়। ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর সেগুলো দখলমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে। করপোরেশন এসব খালের বর্জ্য অপসারণ ও দখল মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। এর বাইরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা রাজধানীর ১৭টি খাল রয়েছে। এই খাল ও জলাশয়গুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৮ মে জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা মহানগরীর খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে কেন এখনও জলাবদ্ধতা?
বিগত বছরগুলোতে ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই ডুবে যেত রাজধানী। চলতি জুন মাসের শুরুর দিকে দুই দিনের বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু পানি কোথাও কোমর পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। এরপরের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হলেও ওই দুই দিন ছিল সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা। তবে রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা অন্যান্য বারের তুলনায় ভালো অবস্থায় আছে বলে দাবি করছে দুই সিটি করপোরেশন। আর যে পরিমাণ জলাবদ্ধতা হচ্ছে এর জন্য দায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে খালগুলো এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার না করতে পারা, সেই সঙ্গে বর্জ্য অপসারণ করতে না পারা, খালের জায়গায় দখলকারীদের এখনও উচ্ছেদ না করতে পারা, ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া অনেক পাম্প, যন্ত্রপাতি, স্লুইসগেট এখনও বিকল থাকা। পাশাপাশি অকার্যকর ড্রেনেজ লাইন এবং উন্মুক্ত স্থানের অভাবে পুরোপুরি সুফল আনার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে খালগুলোতে পানি প্রবাহ ঠিক করতে কাজ করে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। সেই সঙ্গে অন্য কাজগুলোও করা গেলে হয়তবা আগামী বছর থেকে অনেকাংশেই জলাবদ্ধতা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দায়িত্ব পাওয়ার পর কি করেছে সিটি করপোরেশন
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর ২ জানুয়ারি থেকে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগরসহ খালগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে তারা। এরইমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে ১ লাখ ৩৫০০ টনের বেশি বর্জ্য ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার টন পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিন সচল করা গেছে। বাকি তিনটি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বন্ধ নর্দমা ও ডিএসসিসির উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান রেখেছে।
অন্যদিকে দায়িত্ব নেওয়ায় পর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় থাকা খাল থেকে ১১ হাজার ৬৩৮ টন ভাসমান বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। খালের তলদেশ থেকে অপসারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ টন কঠিন বর্জ্য। পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য কাজ চলমান রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা খাল পরিষ্কারে কাজ করছেন। পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসা থেকে পাওয়া ১৮০ কিলোমিটার স্ট্রর্ম স্যুয়ারেজ ড্রেনের মধ্যে ৯৪. ৭১ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কারের জন্য ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি।
এছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড এবং বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া ইব্রাহিমপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, আব্দুল্লাহপুর খিজির খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসিরি চলমান কার্যক্রম স্বল্পমেয়াদি
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে যেসব কার্যক্রম চলছে সেগুলো স্বল্পমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি সংস্থাটি। বর্তমানে তারা পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ শেখ রাসেল পার্ক উদ্বোধন শেষে জলাবদ্ধতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এখন যে কার্যক্রম চলছে সেটা স্বল্পমেয়াদি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের স্বল্পমেয়াদি কাজ হলো স্তূপ আকারে যে বর্জ্য ছিল সেগুলো পরিষ্কার করা। যাতে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের সুযোগটা হয়। মধ্যমেয়াদি কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি আমরা। সেগুলো হলো- যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, সেসব জায়গায় অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে আমরা দরপত্র সম্পন্ন করেছি, আমাদের কাজ চলছে। প্রায় ১০৩ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। পরে হবে দীর্ঘমেয়াদি। আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। সেটির আওতায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সেটা হবে অত্যন্ত পরিকল্পিত। কারণ অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে ওঠার কারণে বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয় তা ধারণ করার ক্ষমতা শহরের নেই। যে কারণে বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন দখলে থাকা ঢাকা মহানগরীর নিম্নাঞ্চলের জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএসসিসি। অভিযানে ঢাকার নিম্নাঞ্চলে জলপ্রবাহের জায়গা পুনরুদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
অভিযান প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকার নিম্নাঞ্চলে জলপ্রবাহের যে জায়গাগুলো ছিল, দীর্ঘসময় ধরে সেসব জায়গা বিভিন্ন কায়দায় দুর্বৃত্তরা দখল করে নেয়। কালের পরিক্রমায় দুর্বৃত্তরা সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলপ্রবাহের সেই জায়গাগুলো দখল করেছে। আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। দখলমুক্তির পর থেকে সেখানে জলপ্রবাহের জায়গায় খননকাজ শুরু হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির প্রত্যেক কাউন্সিলর পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা
খাল, নালা জলাশয়গুলোর দায়িত্ব ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর খালগুলো পরিষ্কার ও দখলমুক্তের কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। যার ফলে চলতি মৌসুমের বৃষ্টিতে আগের তুলনায় জলাবদ্ধতার স্থায়ীত্ব কিছুটা কমেছে বলে দাবি তাদের। তবুও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
এই অবস্থায় বর্ষা শুরু হওয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনেরর কাজ করবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে থোক বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ২য় পরিষদের ৬ষ্ঠ করপোরেশন সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। নগরীর জলাবদ্ধতা ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সাধারণ ও সংরক্ষিত মোট ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে থোক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এএসএস/জেডএস