সরকারি কর্মচারীদের ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি
নবম পে-কমিশন গঠন এবং বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের কমপক্ষে ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।
শনিবার (৫ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন।
বেতন বৃদ্ধি ছাড়া বাকি দাবিগুলো হলো : সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাইরে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মচারীদের পদবী ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহারপূর্বক সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধি অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে এবং পদোন্নতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও উচ্চতর পদের স্কেল প্রদান করতে হবে। একইসঙ্গে আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করতে হবে; ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সব পদে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, টেকনিক্যাল কর্মচারীদের ২টি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল, এলাকা ভেদে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, বিনা ব্যয়ে চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সকল প্রকার চিকিৎসা সুবিধা প্রদান, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা যৌক্তিক ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। স্বল্পমূল্যে রেশন অথবা রেশন ভাতা, দায়িত্বের প্রকারভেদে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা এক মাসের পরিবর্তে দুই মাসের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে ; ১-৬ গ্রেডের কর্মকর্তাদের ৩০ লাখ টাকা ১০ শতাংশ বার্ষিক মূল্য হ্রাস পদ্ধতিতে বিনা সুদে গাড়ি ঋণ সুবিধার অনুরূপ, ১১-২০ গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীদের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা বিনা সুদে গৃহনির্মাণ সুবিধা প্রদান করতে হবে।
কর্মকর্তাদের গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মাসিক ৫০ হাজার টাকার অনুরূপ কর্মচারীদের গ্যাস, বিদ্যুৎ পানি, সামাজিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মাসিক ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে প্রদান এবং রাজউকের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের সংখ্যার আনুপাতিক হারে কোটা সংরক্ষণ করতে হবে; রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের চাকরি গণনা, অযাচিত ২০ শতাংশ পেনশন কর্তনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত দাবি, মামলার রায়সহ অন্য বিষয়সমূহ দ্রুত সমাধানে কমিশন গঠন করতে হবে এবং ১৭ তম গ্রেডের সাবেক ৪র্থ শ্রেণি হিসেবে চিহ্নিত করে জারিকৃত পরিপত্র অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং কল্যাণ তহবিলের অর্থ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করতে কর্মচারীগণের সন্তানদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের উপদ্ষ্টো মো. লুৎফর রহমান খান, সভাপতি মো. আব্দুল হাই মোল্যা, মহানগর কমিটির সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি