রোদের তেজে পুড়ছে শহর, মানুষ খুঁজছে ছায়া ও স্বস্তি

এপ্রিলের শুরুতেই রোদের তীব্রতায় হাঁসফাঁস অবস্থা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের। দিনের শুরু থেকেই সূর্য প্রখর তাপ ছড়াচ্ছে, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাইরে বের হলে মুহূর্তেই ঘেমে যেতে হচ্ছে যে কাউকে। রোদের তাপে যেন পুরো শহর জ্বলছে। এরইমধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। এমন অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর, মাটিকাটা ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রিকশাচালক, দিনমজুর, পথচারী— সবাই মাথায় গামছা, ছাতা কিংবা রুমাল দিয়ে রেখেছেন। রোদের তীব্রতা থেকে কোনোরকমে বাঁচার চেষ্টা করছেন তারা। অনেকে স্বস্তি পেতে অবস্থান নিয়েছেন গাছ কিংবা ভবনের ছায়ায়।
রিকশাচালক সালাম মিয়া বলেন, একটা ট্রিপ শেষ করতেই মনে হয় শরীর শুকিয়ে গেছে। গরমে মাথা ঘুরে আসে। এমন গরম আগে দেখিনি।
আশিকুর রহমান নামে এক তরুণ বলেন, ছাতা নিয়ে বের হয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। রাস্তায় হাঁটলেই মনে হয় মুখে আগুনের তাপ এসে লাগছে। গরমের মৌসুম তো সবে শুরু হলো, এবার মনে হচ্ছে ভালোই ভোগাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে — আজ আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং আবহাওয়াও শুষ্ক থাকবে। আবার বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল রোববার (৬ এপ্রিল) দেশের কিছু অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে গ্রীষ্মকালীন গরম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন
এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পুরো মাসজুড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে ঢাকায় গড় বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৩০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার, যা প্রায় ৮ দিন হতে পারে। চট্টগ্রামে ১২০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা ৭ দিনে হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের শঙ্কা
পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। বিশেষ করে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে এপ্রিল মাসে ১-২ দিন মাঝারি ধরনের কালবৈশাখি ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরএইচটি/এআইএস