এবার ৯৪ কোটি ডলারের তহবিল চাওয়া হয়েছে

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য নবমবারের মতো আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা বা জেআরপি নামের ওই আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তায় ২০২৫ সালের জন্য প্রায় ৯৪ কোটি ডলারের তহবিল চাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়দানকারী কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের জন্য ওই তহবিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় সোমববার (২৪ মার্চ) জেনেভায় বাংলাদেশ, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও এর অংশীদার মানবিক সংস্থাগুলো জেআরপি ঘোষণার বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অর্থ জোগানের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
জেআরপির তহবিল প্রয়োজনীয়তা আটটি খাতের অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, আশ্রয়ণ, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ), সুরক্ষা, শিক্ষা এবং জীবিকা ও দক্ষতা উন্নয়ন।
বিজ্ঞাপন
জেআরপিতে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওসহ ১১৩টি সংস্থাকে সমন্বিত করেছে। আর জেআরপির আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যাবাসনে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, রাখাইনে সংঘর্ষের কারণে গত কয়েক মাসে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। বর্তমানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে এবং প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করছে। রোঙ্গিাদের প্রত্যাবাসন শুরু না করতে পারলে দিনকে দিন বাংলাদেশের ওপর বোঝা বাড়বে, যা চাপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর পড়বে; বিশেষ করে এই অঞ্চলের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
এনআই/এআইএস