বিদ্যুৎখাতে উচ্চ টার্গেট করে লুটপাট হয়েছে
বিদ্যুৎখাতে উচ্চ টার্গেট করে লুটপাট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে।
ম তামিম বলেন, জ্বালানি খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলার খরচের তথ্য দেখেছি। সেখানে তিন বিলিয়ন ডলার হাত বদল হয়েছে। হাতে বদলের প্রমাণ নেই, তবে প্রতি প্রকল্পে হাত বদল হয়েছে। ঠিকাদারি কাজে প্রতিযোগিতা হয়নি। যে কাজ পায় তার কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতি উচ্চ টার্গেট সেট করে লুটপাট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শ্বেতপত্র কমিটি জানায়, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক খাতে যে মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল নির্মাণ করা যেত। এছাড়া ব্যাংকখাতে যে পরিমাণ মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তার প্রকৃত পরিমাণ দিয়ে ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব ছিল। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে যে-সব ঋণ দেওয়া হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট ছিল। আর এই প্রভাব ব্যাংকিংখাতের সংকটকে আরো গভীর করেছে।
কমিটি আরো জানায়, প্রবাসে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো গত ১০ বছরে ভিসার জন্য হুন্ডির মাধ্যমে ১৩.৪ লাখ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। এই টাকা ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) নির্মাণ ব্যয়ের চারগুণ। সিন্ডিকেট এবং এই শোষণমূলক নিয়োগের কারণে অভিবাসী শ্রমিকরা ন্যায্য কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।
এসআর/জেডএস