শাহবাগে যৌথবাহিনীর সতর্ক অবস্থান, আছে এপিসি-জলকামান
সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সমাবেশের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শাহবাগ মোড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে অবস্থান নিয়েছেন। অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে রাখা হয়েছে দুটি এপিসি এবং একটি জলকামান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকায় এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের চারপাশে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পাশের সড়কে রাখা হয়েছে একটি জলকামান। আর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এবং শাহবাগ থানা অভিমুখের সড়কে দুটি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) রাখা হয়েছে। তবে পুরো এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে, দুপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর তিন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম মহানগরীতেও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চের মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা হয়। এই ঘটনায় আগেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস।
আরএইচটি/এমজে