গণহত্যা নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে করিম এ এ খান ড. ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এসময় তিনি জানান, তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে ড. ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রস্তাব দেন। এসময় সেখানে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলিও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে– সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার নিমিত্তে জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা।
করিম খান বলেন, ‘এ তিন দফা যথার্থ।’
ড. ইউনূস করিম খানের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ বিপ্লবে কমপক্ষে ৭০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। তবে তিনি বলেন, আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য যথাযথ নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয়।
এসএসএইচ