নিউইয়র্কে দেখা হচ্ছে না ইউনূস-মোদির
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। তবে নিউইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইউনূসের দেখা হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হয় তৌহিদ হোসেনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ওনাদের দুজনের (ইউনূস-মোদি) উপস্থিতি নিউইয়র্কে একসঙ্গে হচ্ছে না। কারণ, মোদি একটু আগে চলে আসছেন। আর আমাদের প্রধান উপদেষ্টা একটু দেরিতে যাচ্ছেন। কাজেই তাদের ওখানে দেখা হওয়ার সম্ভবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন
দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণে কি নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তো অনেক কথা পছন্দ না হতে পারে। কাজেই ওনার কথা আমার পছন্দ হলো না বা আমার কথা ওনার পছন্দ হলো না, এটা নিয়ে আমার মনে হয় খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। এ কারণে তো এমন নয় বাংলাদেশ এখান থেকে বহুদূরে অবস্থিত হয়ে যাবে আর ভারত চলে যাবে অন্য কোথাও। প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদশের পাশে থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি যেহেতু পরিবর্তন হয় না, কথা কারও পছন্দ হোক বা না হোক…। ভারতের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময়ে অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা এতটা গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা না করাই উচিত। উনি দেখা করবে না বিষয়টা এমন না। আসলে সময় ওভারলেপ করছে না। এটাকে আমরা ধরে নেব। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা রাখতেই হবে। এটা ভারতেও লাগবে আমাদেরও লাগবে।
মোদির সঙ্গে বৈঠক না হলেও নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকে আলোচনা বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে বা কি কথাবার্তা হবে সেটা না হয় আমরা ফিরে এলে তখন আমরা বলব কোনটাতে কি কথা বললাম।
নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাই কমিশনার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএইডের প্রশাসক; এদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা নিশ্চিত হয়েছে। আরও কিছু পাইপ লাইনে আছে।
এনআই/এসএম