বিরামহীনভাবে চলছে উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ কার্যক্রম
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছেন। সশস্ত্র বাহিনীর উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৬ হাজার কেজি চাল, ৯ হাজার ৬৯০ প্যাকেট শিশুখাদ্য , ৫০০টি মোবাইল ফোনসেট, ৪০,৫০০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৪৩,৪৬০টি স্যানেটারী ন্যাপকিন, ৭০ কার্টুন পোশাক এবং ১,৫৮৮টি বিভিন্ন ধরণের খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে ৭টি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে আজ পর্যন্ত সর্বমোট ২,৫২২ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, ২,৫০০ জন বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার, ৪১,৮২৭ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং ৩,২৫০ জনকে রান্না করা খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায় বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এবং সংলগ্ন এলাকায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর বন্যা দুর্গতদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর চাহিদা সম্পর্কে অবহিত হন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে চলমান উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসু করার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়সমূহ সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের কাজে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
নৌবাহিনী প্রধান ফুলগাজীর বন্যা কবলিত বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন এবং উদ্ধারকার্য, ত্রাণ বিতরণ ও সুচিকিৎসা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দ্রুততার সাথে বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। নৌ কন্টিনজেন্ট ফুলগাজীতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।
এছাড়াও উপজেলায় ৩০ বেডের ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে নৌবাহিনী বন্যা দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। একইসাথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ ১২টি হেলিকপ্টার দিয়ে ২৩টি সর্টির মাধ্যমে বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এএসএস/এসএমডব্লিউ