দেখা মিলছে না মেয়র আতিকের
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকার রাজপথ দখলে নিয়েছিল ছাত্র-জনতা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ৩৬ দিন আগে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার পর দেশজুড়ে সংঘাত আর ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর মধ্যে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ভারতের পৌঁছে যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়েছেন। পরেও অনেকে নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়েছেন, আবার অনেকে দেশ ছাড়তে চেয়েও আটকে গেছেন বিমানবন্দরে। বেশ কিছু নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া অনেকেই দেশে নিরাপদ স্থানে আত্মগোপনে গেছেন।
এদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশ ছেড়ে যাননি। দেশে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। জনসমাগম বা সাধারণ মানুষের সামনে আসছেন না। এড়িয়ে চলছেন সবাইকে, লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে আসছেন না মেয়র আতিকুল।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি দেশে ছেড়ে কোথাও যাননি, দেশেই আছেন নিরাপদে আছেন।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম রাজনৈতিকভাবে এবং মেয়র হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি অন্যায়ভাবে কখনোই কারও ক্ষতি করেননি। সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করেছেন। সব মিলিয়ে সবার কাছেই তার গ্রহণযোগ্যতা আছে, সে কারণে কারও রোষানলে তিনি পড়েননি। তবে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসম্মুখে আসছেন না, নিরাপদ স্থানে আছেন।
অন্যদিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গত ৩ জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বিমানের ফ্লাইটে একাই সিঙ্গাপুরে গেছেন। তার সঙ্গে তার পরিবারের কোনো সদস্য ছিলেন না।
এএসএস/এমএ