সরকারদলীয়দের হাতে ৪৩ ব্যাংক
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গতকাল শনিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এমনকি বিভিন্ন উৎপাদন এলাকাতেও উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
কাঁচা মরিচের কেজি ৩৫০–৪০০ টাকা
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। আর দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এর চেয়ে বেশি দামেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারতীয় কাঁচা মরিচ আকারে দেশি মরিচের তুলনায় কিছুটা বড়।
কালবেলা
নির্যাতন বন্ধসহ হরিজনদের স্থায়ী আবাসন দাবি
রাজধানীর বংশালে মিরনজিল্লা কলোনিসহ বিভিন্ন হরিজন পল্লির বাসিন্দা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ ও ভূমি দখলের অবসান এবং অনতিবিলম্বে নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ ও সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে নেতারা বলেন, যারা মহানগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের অভিযান চলতে পারে না। এই হরিজনদের প্রায় তিনশ বছর আগে নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ভারত থেকে আনা হয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। এটাই তাদের স্থায়ী ঠিকানা। শত শত বছর ধরে বংশানুক্রমে তারা এখানে বসবাস করছেন। এই ভূমি তাদের নামে বরাদ্দ করা হোক। পাশাপাশি হরিজন, তেলেগু, রবিদাস সম্প্রদায়সহ গৃহহীনদের স্থায়ীভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইত্তেফাক
তদন্ত স্তিমিত, সংসদ কিছু জানে না, স্বর্ণের প্রসঙ্গও আড়ালে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার দুই মাস পূর্ণ হলো। তবে, এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সুস্পষ্ট ও উল্লেখযোগ্য তেমন অগ্রগতি নেই। দুই মাস পর এসে সামগ্রিক তদন্তও অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এখন পর্যন্ত তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। কলকাতার পুলিশও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। উল্লেখ্য, কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে কিংবা অন্য কোনো কারণে কেউ সংসদ সদস্য পদ হারালে সংবিধান ও কার্যপ্রণালিবিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেটের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানায় সংসদ সচিবালয়। শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আসনে উপনির্বাচন আয়োজনেরও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কালের কণ্ঠ
জয়পুরহাটের কালাই ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১২ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মো. সাইফুল ইসলাম। তাঁর এমপিওভুক্তির ইনডেক্স নম্বর ৫৪৭৩৯০। বিদ্যালয়টি ২০২২ সালে জাতীয়করণ হয়। তাঁর চাকরিও সরকারি হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্য চিঠিতে জানায়, ‘রেকর্ডপত্র পরীক্ষা ও যাচাই করে সাইফুল ইসলামের বিএড সনদের সঠিকতা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর উল্লিখিত প্রগ্রামের সনদপত্র এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়নি।’
মো. সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধানমণ্ডিতে দারুল ইহসানের চারটি ক্যাম্পাস ছিল। আমি পাস করেছি ধানমণ্ডি-১২০৫ ক্যাম্পাস থেকে।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
এলএনজি শুধু অর্থের চাপ নয়, সরবরাহেও ভোগান্তি তৈরি করছে
দেশের বিদ্যমান গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় এলএনজি-নির্ভরতা এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ ঘাটতি পূরণে প্রধানত এলএনজি আমদানির ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য অস্থিতিশীল হলে বা ডলার সংকটের মুখে আমদানি করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।
বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা ৩১০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ভাসমান দুটি টার্মিনালে রিগ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে দৈনিক এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা ১১০ কোটি ঘনফুট। এ অনুযায়ী জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের মোট সরবরাহ সক্ষমতায় এলএনজির অংশ ৩০ শতাংশের বেশি। উচ্চ মূল্য, টার্মিনাল বিকল বা বন্ধ হয়ে পড়া, পাইপলাইনে ত্রুটি অথবা দুর্যোগের সময় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হলে দেশে গ্যাসের বড় ধরনের সরবরাহ সংকট দেখা দিচ্ছে। গত দুই-আড়াই বছরে বেশ কয়েকবার এমন বড় ধরনের সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
মানবজমিন
ভুল রিপোর্টে সর্বস্বান্ত মানুষ
দেশের ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। তাই রোগ নির্ণয় বাংলাদেশে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা মানা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকারি কোনো তদারকি নেই। ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ক্লিনিকগুলো রিপোর্ট তৈরি করায়। রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় না হওয়ায় দেশের অর্ধেক রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার রিপোর্টে গরমিল থাকায় দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা কম বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে রোগ নির্ণয়ে ভুল করছে দেশের নামিদামি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ক্লিনিকগুলো। ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে অনেক রোগী অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। ভুল প্যাথলজিক্যাল টেস্ট থেকে ডাক্তারের আত্মীয়স্বজনরাও নিরাপদ নয়। ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে রোগী ও তার পরিবার শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
দেশ রূপান্তর
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ ব্যাংক খাতের কাছে। আর দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মালিকানা ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিংবা ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ব্যবসায়ীদের হাতে। যার ফলস্বরূপ ব্যাংকঋণও দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক সুপারিশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ-সংক্রান্ত ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট-২’ শীর্ষক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের আর্থিক খাত নিয়ে ওই প্রতিবেদনে ১৯টি পর্যবেক্ষণ দেয় বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনটিতে বিশ্বব্যাংক বলেছে, দেশের ৬১ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে ৪৩টির নিয়ন্ত্রণ সরকারদলীয় রাজনীতিবিদ ও বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের হাতে।
এছাড়া সমন্বয় না থাকায় ডুবছে ঢাকা; সরকারের কড়া নজরে কোটা আন্দোলন; সীমান্ত থেকে ভেতরের ১০ মাইল বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণার পরামর্শ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।