মাউশির খালেকের ‘এমপিও ব্যবসা’
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে পৃথক আলোচনায় বসছেন। গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্কের গুণগত উত্তরণ ঘটেছে। চীনের অঞ্চল ও পথের (বেল্ট অ্যান্ড রোড) উদ্যোগে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। চীন অর্থায়ন করেছে পদ্মা রেলসেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো বড় প্রকল্পে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী: গুরুত্ব পাবে ভূরাজনীতি ও সম্পর্কের উত্তরণ
জিডিআই নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও বাংলাদেশ এ নিয়ে কিছু সই করার আগে সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সমঝোতা সই না করলেও বাংলাদেশ যাতে জিডিআইয়ের সহযোগীদের ফোরামে যোগ দেয়, সে ব্যাপারে চীন বেশ আগ্রহী ছিল।
সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জিডিআই শেষ পর্যন্ত চীনের ৫০০ কোটি ডলারের দর–কষাকষির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। চীন যদি বাংলাদেশের শর্ত মেনে ঋণ দেয়, সে ক্ষেত্রে একেবারে শেষ মুহূর্তে যৌথ ঘোষণায় ঢাকায় জিডিআইয়ে যুক্ত হবে এমন ঘোষণা দিতে পারে।
কালবেলা
সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে দুই শতাধিক স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সুবিধা অনুমোদন করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এএসএম আব্দুল খালেক। প্রতিটি স্কুলে গড়ে ১০-১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন। এমপিওভুক্ত করার জন্য ওই কর্মকর্তা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক স্বাক্ষরিত বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখা থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেই পরিপত্রে এমপিওর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনলাইন আবেদন যাচাই করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটিকে দেওয়া হয়।
দেশ রূপান্তর
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থামাতে আপাতত আইনি পথেই এগোনোর চিন্তা করছে সরকার। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিলে স্থগিত করার আইনি ফাঁকফোকর বের করার পথ খুঁজতে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া আরেক নেতা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলন থামাতে আইনগতভাবে কী করার সুযোগ আছে, তা জানতে ও বুঝতে আইনমন্ত্রীকে ডাকা হয়। আর শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যায় এবং তারা কী ভাবছেন, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে। দুটি আন্দোলন নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বৈঠকে।
কালবেলা
সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা এক বছরে হাজারের বেশি
দেশে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ১ হাজার ৪৫টি নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১০ জনকে। হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। হামলা ও শারীরিক নির্যাতনে জখম হয়েছে ৪৭৯ জন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
রানা দাশগুপ্ত দাবি করেন, হামলার সংখ্যাটি সাম্প্রদায়িক চালচিত্রের একটি আংশিক অংশমাত্র। বিগত বছরগুলোর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, সহিংসতার ঘটনার খুব বেশি হেরফের হয়নি। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে ১৯৭০-এর নির্বাচনকালীন প্রায় ১৯ শতাংশ সংখ্যালঘু বর্তমানে ৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
দেশ রূপান্তর
প্রায় সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে কোটাপ্রথা বাতিল করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন আটকে দিচ্ছেন। এতে যাত্রীরা পড়ছেন মহাভোগান্তিতে।
নাম প্রকাশ না করে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোটাপ্রথা বাতিল করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন, তাতে আমাদের করার কিছু নেই। তারা আন্দোলন করলে করুক, তাতেও সমস্যা নেই। যদি আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোনো ধরনের অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধীরা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের কেউ কেউ উসকানি দিচ্ছে। এ রকম ৩৫ জনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের প্রোফাইল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সবার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ প্রতিদিন
সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করার এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বরিশালসহ সারা দেশে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছে তারা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তেমনি আমরাও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছি। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশের ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে এসেছে। আমাদের এ আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আমরা চাই সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিক। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে।
বণিক বার্তা
পাঁচ বছরে ৩৬ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনায় রফতানি গরমিলের প্রভাব আছে
রফতানির বিপরীতে গত পাঁচ অর্থবছরে মোট ৩৬ হাজার ৫১১ কোটি টাকার নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার ৬৮৯ কোটি, ২০২১-২২-এ ৮ হাজার ৭৮৫ কোটি, ২০২০-২১-এ ৬ হাজার ৬৪৬ কোটি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
দেশের আর্থিক খাতের বেশ কয়েকটি আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় রফতানি আয়ের প্রণোদনার ক্ষেত্রেও অনিয়মের ঘটনা দেখা গেছে। এক্ষেত্রে নিরীক্ষকের জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে প্রণোদনার অর্থ তছরুপের নজিরও রয়েছে। রফতানি আয়ের হিসাব সংশোধনের কারণে প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় এ খাতে নগদ প্রণোদনার বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কালবেলা
ড্রাইভার আবেদ আলী এ যুগের ‘আলাদীন’
একসময় নিজ গ্রামে মাটি কাটা শ্রমিকের কাজ করতেন আবেদ আলী জীবন। চাকরির খোঁজে রাজধানীতে এসে ফুটপাতে শুয়েও পার করেছেন রাতের পর রাত। বহু চেষ্টা-তদবিরে একসময় ভাগ্য খোলে আবেদের। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরিচালকের গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব পান পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়ি চালানোর।
দামি বাড়ি, গাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট, এমনকি তৈরি করেছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স কোম্পানিও। এখন নিজেকে পরিচয় দেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে।
কালের কণ্ঠ
৭ বছরে ৫৬৬ কোটি ডলার দিয়েছে চীন
দেশের মেগাপ্রকল্প পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে চীন। গত তিন বছরে দ্বিগুণ হয়েছে ঋণছাড়ের পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে দেশটি। গত সাত বছরে ছাড় করেছে ৫৬৬ কোটি ডলার।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে দেশে চীনা অর্থায়ন বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২৪ কোটি ডলার ছাড় হয়েছিল। গত সাত বছরে ছাড় হয়েছে ৫৬৬ কোটি ডলার।
সমকাল
ঋণখেলাপিদের জন্য আবারও বড় ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো খেলাপি সুদ মওকুফ নিয়ে তিন বছরের মধ্যে দায় সমন্বয় করতে পারবে। এমনকি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি করেও ঋণ সমন্বয় করা যাবে। এ ধরনের আবেদন পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংক থেকে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলো স্থায়ীভাবে একটি নীতিমালা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে একবার ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এক্সিটের জন্য বিশেষ নীতিমালা জারি করেছিল। এতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনারোপিত সুদের সম্পূর্ণ অংশ এবং স্থগিত সুদ মওকুফের বিধান যুক্ত করা হয়। ওই সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার এক্সিট সুবিধার বিপরীতে সুদ মওকুফ হয় এক হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
এছাড়া অচল পড়ে আছে দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতাল; আবেদসহ গ্রেপ্তার ১৭/ প্রশ্নফাঁসে কোটিপতি পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক; চলতি বছর বাংলাদেশে সুইডেনের মানবিক সাহায্য ১২৩ কোটি টাকা; ছয় বছর ধরে পড়ে আছে সাড়ে ৬ কোটির ভবন; —সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।