বাংলাদেশ-ইইউর ৩ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর
ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ স্কিমের অধীনে তিন মিলিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইতালি-জার্মানিসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ ঋণ সহায়তা দিয়েছে ইইউ।
সোমবার (৮ জুলাই ) ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসায় এ ঋণ সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তি সই করা হয়।
ইইউর রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ চুক্তির ফলে অভিবাসী এবং তাদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। এই অংশীদারিত্ব সামগ্রিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটাবে। এ ছাড়া, শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং অনিয়মিত অভিবাসন হ্রাসসহ ইইউর বাইরের গন্তব্যের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন
হোয়াইটলি বলেন, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি কখনো শক্তিশালী ছিল না। ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক চিহ্নিত করেছে। এটি করার ফলে টেকসই প্রবৃদ্ধি বাড়াবে এবং ইউরোপে শ্রমবাজারের দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণ করবে।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম ও ইইউর কূটনীতিকরা বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ অভিবাসনকে উন্নীত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যসেবা ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষ জনবলের অভাব। এই ঘাটতি পূরণ করতে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় কমিশন বর্তমানে পাঁচটি দেশের সঙ্গে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপের অধীনে নিরাপদ ও দক্ষ অভিবাসন নিয়ে কাজ করছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশর, মরক্কো, তিউনিসিয়া, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান।
এনআই/এমজে