শান্তিরক্ষা মিশনে বহুমুখী দায়িত্ব বাস্তবায়নে টেকসই বাজেটে জোর
শান্তিরক্ষা মিশনের ওপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই শান্তিরক্ষা বাজেট প্রয়োজন এবং মিশনগুলো যথোপযুক্ত বাজেট পেল কি না তাও নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
সোমবার (৩ মে) জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেট সেশনে দেওয়া বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো যাতে তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতিবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টাগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাই এ বাজেট বরাদ্দের সময় যাতে কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় সে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের নারী, শান্তি ও সুরক্ষা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি।’
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশেষ করে এর উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সব স্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের ৭টি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন।
এনআই/জেডএস