বিমসটেকের পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা শিগগিরই
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট-বিমসটেকের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে। শিগগিরই শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (৩ জুন) গুলশানে সচিবালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)- এর সঙ্গে বিমসটেকের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মানি পেন্ডি।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদনের অপেক্ষায় এই বছরের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে। ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। আসন্ন সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য কিছু অগ্রগতি দেখা যাবে। এগুলো বিমসটেকের ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।
ইন্দ্রা মানি বলেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বিমসটেকের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন শক্তি যোগ করবে। শীর্ষ সম্মেলনটি ব্যাংকক ভিশন-২০৩০ গ্রহণ করবে, যা একটি চমৎকার দলিল হবে এবং এটি বিমসটেককে দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বিমসটেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে। বিমসটেক একটি সাফল্যের গল্পে পরিণত করতে সব সদস্য রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল দেশ। এদের নিয়ে বিমসটেকের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিমসটেকের মতো বহুপক্ষীয় সম্পর্ক এখানে কোনো ক্ষতি করছে না বরং এটি সবাইকে সহযোগিতা করছে।
সামুদ্রিক সহযোগিতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে কাজ চলছে। সদস্য দেশগুলো নথিতে স্বাক্ষর করলে বিমসটেক বিস্তারিত শেয়ার করতে পারবে।
বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা হচ্ছে বলেও জানান সেক্রেটারি জেনারেল।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিমসটেক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা-জানতে চাইলে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিমসটেক টেকনিক্যাল ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। আমি মনে করি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করার দিকে নজর দেওয়া উচিত। বিমসটেক নেতারা সম্মেলনে যে অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে, তা নিয়ে আমরা কাজ করি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ডিকাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ মার্চ বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করে থাইল্যান্ড। আসন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে ব্যাংকক।
এনআই/জেডএস