৪০০০০ কোটির বাজার ঝুঁকিতে!
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
মালেয়শিয়ার শ্রমিকদের দুর্দশার বর্ণনা গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউ গরু বিক্রি করে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা জমা দিয়েছিলেন। কেউ টাকা সংগ্রহ করেছিলেন ব্যাংকঋণ নিয়ে। কেউবা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করেছিলেন। মালয়েশিয়া গিয়ে ভালো বেতনে চাকরি করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবেন, এই ছিল স্বপ্ন।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
মালয়েশিয়া যেতে কেউ জমি বন্ধক রেখেছেন, কেউ গরু বিক্রি করেছেন
শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা এসব মানুষ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, কোম্পানিকে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা দিয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারলেন না। তাঁদের কেউ বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি। অনেকে তিন গুণ বেশি দামে টিকিট কিনেও ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে কাজের অনুমতিপত্র না পেয়ে যেতে পারেননি।
যুগান্তর
রিক্রুটিং এজেন্টদের অনিয়ম বন্ধে কাজ করছে বাংলাদেশ
রিক্রুটিং এজেন্টদের একটি সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে মালয়েশিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মীদের অধিক অর্থ দিতে হয় বলে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের অভিযোগের জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
অভিবাসনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন জাতিসংঘের চার স্বাধীন বিশেষজ্ঞ। চিঠির জবাবে বলা হয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্টদের অনিয়ম বন্ধে কাজ করছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
দেশ রূপান্তর
ঝুঁকিতে ৪০০০০ কোটির বাজার
বাংলাদেশের শ্রমবাজার মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওপরই অনেকটা নির্ভরশীল। দেশের প্রবাসী আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশই আসে এই অঞ্চলগুলো থেকে। তবে দিন দিন এই দেশগুলো প্রবাসীদের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
দেশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট, দালাল ও এজেন্সিগুলোর নানা অনিয়মের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রবাসী আয় ইতিমধ্যেই ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। যদিও এসব দেশে যেতেও অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশিদের খরচ অন্তত দ্বিগুণেরও বেশি। দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ হয়ে পড়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে আয় পাঠাতে পারছেন না। এসব দেশে প্রবাসী বাড়লেও হুন্ডির কারবারিদের থাবায় আয়ের বড় অংশই অবৈধভাবে আসছে।
সমকাল
বেনজীর পুঁজি ছাড়াই ভাওয়াল রিসোর্টের মালিক
শুধু ক্ষমতার জোরই ‘পুঁজি’। জনশ্রুতি রয়েছে, পাঁচতারকা মানের ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক হতে এক পয়সাও লগ্নি করতে হয়নি সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে। গাজীপুরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামে গড়ে তোলা এ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারটির ওয়েবসাইটে এর জমির পরিমাণ ৩৫ একর (১০৫ বিঘা) বলা হলেও এলাকাবাসীর দাবি, রিসোর্টের জায়গা ৫০ একরের কম না।
সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। কীভাবে প্রভাববলয় ব্যবহার করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে।
কালের কণ্ঠ
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ইটভাটা দখলে নেন বেনজীরের শ্যালক
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামে ৪৮ বিঘা জমির ওপর একটি আধুনিক ইটভাটা স্থাপন করে জীবনের নতুন স্বপ্ন বুনেছিলেন আনারুল ইসলামের ছেলে আশরাফুজ্জামান হাবলু। কিন্তু পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইটভাটাটি যাত্রা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই দখল করে নেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের শ্যালক মির্জা আনোয়ার পারভেজ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাঁর ক্ষমতার দাপট ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরায়ও। সীমান্তবর্তী এই জেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। ভগ্নিপতির ক্ষমতার দাপটে সাতক্ষীরায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন তাঁর শ্যালক আনোয়ার পারভেজ। ২০১৮ সালে নির্মাণ শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় হাবলুর ইটভাটাটি দখল করেন তিনি।
এছাড়া লাশ গুমে জড়িত সিয়াম আটক, ডিবি এবার নেপালে; বাজেটে বিদেশি ঋণের চাপ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।