অস্বস্তি কাটাতে এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন লু : পররাষ্ট্রসচিব
আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার সফর নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গত কয়েক বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের চেষ্টাসহ নানা বিষয়ে পেছনের কলকাঠি নাড়া ব্যক্তি হিসেবে নাম উঠে আসে ডোনাল্ডর লুর। গত বছর তার ঢাকা সফর ছিল আলোচনার শীর্ষে। তার এবং ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নানা পদক্ষেপ ও দৌড়াদৌড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের কর্মকাণ্ড ছিল ‘অযাচিত’। শেষমেষ বাংলাদেশে নির্বাচন হয়ে গেল এবং আওয়ামী লীগ সরকার আরেকবার ক্ষমতায় এলো। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে একরকম শীতলতাই বিরাজ কছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
সেই ডোনাল্ড লু যখন আবার ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- এটা কি সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের মিশন? বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ইঙ্গিত দিলেন তেমন কিছুরই।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর লুর প্রথম সফর হবে এটা। তার আসার সেটাই উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার রেগুলার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ এখন আমাদের সঙ্গে এনগেজড হতে চায়।
লুর সফরে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে ওদের প্রচুর মেকানিজম আছে, ডায়লগ আছে। সেগুলো কীভাবে রিয়েক্টিভ করা যায়। ওদেরও আবার নির্বাচন আছে। কোন কোন মেকানিজমকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটা আলোচনায় থাকবে। পারস্পরিক সম্পর্কের সবগুলো উপাদান থাকবে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। সেই সময় বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে, বিশেষ করে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে তারা অনেক ‘মেকানিজম’ করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হয়।
দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসবেন ডোনাল্ড লু।
এনআই/এসএম