ভারতের সঙ্গে সোমবার থেকে সীমান্ত বন্ধ
ভারতে করেনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আগামীকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখা হবে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উইংয়ের মহাপরিচালক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৈঠকে আগামীকাল সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগামীকাল থেকে ১৪ দিনের জন্য স্থলবন্দরে মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্য পরিবহন চলবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। সিদ্ধান্তটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন বা এসে পড়বেন, তারা যশোর সীমান্ত এবং সীমান্ত এলাকায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। আজকেও যারা দেশে ঢুকবেন, তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
সীমান্ত বন্ধের বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, এটা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তপথে চলাচল বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বহু মানুষ প্রতিনিয়ত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করেন। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলে তারা বেকায়দায় পড়বেন বলে গত সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আজ এ বিষয়ে একটি বৈঠকে আমার মন্ত্রণালয়ের সচিবের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি বৈঠকে যোগ দেইনি। তবে সীমান্ত বন্ধ থাকবে- এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়মও মানা হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমান্ত বন্ধ রাখা ছাড়া এখন পথ খোলা নেই।’
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেলেন, ভারতে করোনার নতুন রূপ শনাক্ত হওয়ায় দেশটির সঙ্গে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এনআই/পিএসডি/এসএইচআর/এফআর/জেএস