দস্যুরা অ্যাটাক করেছে,আমরা অ্যারেস্টেড: জাহাজ থেকে নাবিকের বার্তা
মাঝসমুদ্রে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজটিতে আটকা আছেন ২৩ বাংলাদেশি। পরিবারের কাছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় তাদের জিম্মির বিষয়টি জানিয়েছেন জাহাজে থাকা একাধিক বাংলাদেশি।
পরিবারের কাছে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় জাহাজে থাকা একজন বলেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করো। সোমালিয়ার জলদস্যুরা অ্যাটাক করেছে। অলরেডি আমরা অ্যারেস্টেড। আমাদের এক জায়গায় বন্দি করে রাখছে। মনে হচ্ছে নিয়ে যাবে। ওরা বোটেও উঠিয়ে ফেলছে অলরেডি।’
আরও পড়ুন
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অন্তত ৫০ জন জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের জিম্মি করে। এরপর এদিন বিকেলে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমালিয়ানরা হয়ত মুক্তিপণের জন্য এটি করেছে।
এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। নাবিকরা নিরাপদে আছেন। সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছি।
জাহাজের অবস্থান শনাক্তকারী ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩২ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থের জাহাজটি বাল্ক কেরিয়ার। এটি আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
এমআর/এমজে