খালের জায়গায় ১০তলা ভবনের অনুমতি কীভাবে দিল রাজউক, প্রশ্ন মেয়রের
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। উচ্ছেদ অভিযানে খালের অংশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন একটি ১০তলা ভবনের ৭০ ভাগসহ মোট তিনটি স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন এই ১০তলা ভবন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের জায়গার ওপর এই ভবনের অনুমতি কীভাবে দিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আমি জানি না, ভবনটি আসলেই রাজউক থেকে অনুমতি নিয়েছে কি না। অনুমতি না পেলে ভবনটি নির্মাণ হওয়ার কথা নয়। তাহলে কীভাবে রাজউক খালের জায়গায় ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করল?
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ৪০ ফুট এলাকায় ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
অভিযানে রামচন্দ্রপুর ও লাউতলা খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথমে খালের মোহনার জায়গা দখল করে বানানো একটি আধাপাকা ও একটি পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ভাঙার কাজ। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা খালের সীমানা মেপে দেখেন নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ ভাগই খালের জায়গার ওপর বানানো হয়েছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ডিএনসিসি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অবৈধ ভবন ভাঙার কাজ করা হয়।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এ শহরে খালের জায়গায় কোনো ভবন থাকবে না, করতে দেওয়া হবে না। রাজউক যদি বিচার বিশ্লেষণ না করে খালের জায়গায় ওপরে এমন ১০তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেয়, তাহলে আমি বলব অবশ্যই রাজউকের কাজে অবহেলা আছে।
তিনি বলেন, অবৈধ ভবন সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কোনো বৈধ নোটিশ দেব না। সবাই জানে কারা খালের সীমানায় ভবন বানিয়েছে। ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল জনগণের। এ সীমানা কেউ দখল করতে পারবে না। ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
এএসএস/এসএসএইচ