ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজ চালু
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেটে নির্মাণ করা দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি পেয়ে আনন্দিত পথচারীরা। তবে তারা শঙ্কায় আছেন সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি আবার না হকারদের দখলে চলে যায়।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমুখ। এরপর এটি পথচারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ফুটওভার ব্যবহারকারী পথচারী নিশাত বিজয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়াতে ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রসস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে অধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।
আরেক পথচারী অনির্বান বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফার্মগেট অনেক ব্যস্ততম এলাকা। এখানের প্রচুর মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে রাস্তা পার হয়। তবে আগের ফুটওভার ব্রিজের মতো যদি এটিও হকারদের দখলে চলে যায়, তাহলে এটির সৌন্দর্য আর থাকবে না। আগের মতোই মানুষ এখানে উঠতে অনিরাপদ মনে করবে।
মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণকাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হলেও তা বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে বিলম্ব হয়।
ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর ব্রিজটি প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের সব দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’রও সুবিধা রাখা হবে।
/এমএইচএন/এমএ