শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহা। ভারত সফররত জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তার আগ্রহের কথা জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তার সরকারি বাসভবনে দেখা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নিয়মিত আম উপহার দেন এবং আমি তার জন্য আনারস উপহার হিসেবে পাঠাই, কিন্তু আমি তার সঙ্গে দেখা করিনি।’
মানিক সাহা বলেন, দুইবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এখনও বাংলাদেশ সফর করেননি। তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে চাই।
• প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৯৮০ কেজি আনারস পাঠালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী হওয়ায় তিনি তার কর্মকর্তাদের সফর নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি জানি ত্রিপুরার জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।
জেপিসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
মানিক সাহা আরও বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবসময়ই প্রত্যাশিত।
• ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি, বাংলাদেশ ও এর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্বিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বে বিদ্রোহ নির্মূল হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন: ‘বাংলাদেশ স্থিতিশীল থাকলে, ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান যোগাযোগের পথ ছাড়াও সাবরুমের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ, আগরতলা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বিমান যোগাযোগের পাশাপাশি রেল যোগাযোগও শিগগিরই শুরু হবে।
দীর্ঘ আলোচনায় মানিক সাহা সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, কাঁটাতারের বেড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় হওয়া উচিত কারণ, এটি মাদক চোরাকারবারিদের সহিংসতা বন্ধে সহায়ক হবে।
• ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাবার নামে বিদ্যুৎ বিল
ত্রিপুরার একজন ডেন্টিস্ট হিসেবে সুপরিচিত মুখ্যমন্ত্রী, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ এবং অভিবাসন হয়রানি বন্ধ করার জন্য জেপিসি প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন।
আগরতলা প্রেসক্লাবের আমন্ত্রণে জেপিসি প্রতিনিধি দল তিনদিনের সফরে ১ সেপ্টেম্বর ভারত যান।
সূত্র : বাসস।
এনএফ