ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক হতে হবে : তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধিরা যে পর্যায়েই কাজ করুক না কেন, জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। করোনাকালীন সময়ে করোনাকে যেরকম সবাই গুরুত্ব দিয়েছিল এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, তাতে করোনার যুদ্ধে আমরা সফল হয়েছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গুর মতো রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরসহ আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সমসাময়িক বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সারা পৃথিবীতেই এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস করা সম্ভব। সেজন্য প্রধান কাজ হচ্ছে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বা লার্ভা জন্মানোর মতো উপযুক্ত পরিবেশ আছে, এরকম বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস আদালতকে বড় অংকের জরিমানা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, নানাভাবে সতর্ক করার পরও মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার মতো অসচেতনতাকে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস না করে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হ্রাস করার সহজ কোনো উপায় নেই, কারণ মশা এমন একটি প্রাণী যা যে কাউকেই কামড়াতে পারে। এসময় তিনি ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে বিটিআই প্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং তা সাংবাদিকদের দেখান।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।
এএসএস/এফকে