নির্বাচনের আগেই বিবিএস থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছে সরকার
#সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ১৯৪টি তথ্য দেবে বিবিএস
#নির্বাচনী ইশতাহারেও গুরুত্বপূর্ণ হবে জনমিতিক জরিপ
#জরিপে আসবে রেমিট্যান্স ও খানার অর্থনৈতিক হিসাব
#বিবিএসের সবচেয়ে বড় জরিপ জনমিতিক
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষভাগে অথবা জানুয়ারির প্রথমভাগে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে নতুন বছরে নতুন করে সরকার গঠন হবে। তার আগেই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কাছ থেকে দেশের জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থাসহ সর্বমোট ১৯৪টি সূচকের তথ্য ভাণ্ডার পাবে সরকার। সেখানে দেশের কোন জেলা-উপজেলার জনগোষ্ঠীর আর্থিক অবস্থা কেমন তার ধারণা পাওয়া যাবে। বিবিএসের এ তথ্য নতুন সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবিএসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সঠিক তথ্য ছাড়া সঠিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে সরকারকে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো কাজটি করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। বর্তমান সরকারের যত উন্নয়ন হয়েছে, সব উন্নয়ন বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসবে, তারাই দেশের উন্নয়নে একদম নতুন তথ্য পাবে বিবিএস থেকে। যেমন– জনশুমারি ও গৃহগণনা, জনমিতিক জরিপ, দেশের দারিদ্র্যের হিসাবসহ সব হালনাগাদ তথ্য পাবে সরকার। এসব তথ্যের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন সরকার প্রধান।
বিবিএস জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে। এসময় বিবিএস ডিজিটালি ট্যাবের মাধ্যমে জনশুমারি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারা দেশে একযোগে ট্যাবের মাধ্যমে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জনশুমারি সম্পন্ন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাটি। ডিজিটাল শুমারির পর দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে বিবিএস। দীর্ঘ দুই বছর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা জনশুমারির চূড়ান্ত সাফল্যের পর জাতিসংঘ বিবিএসকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. দিলদার হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী মূল শুমারির অব্যবহিত পরে অর্থাৎ গত ২১ মে থেকে আগামী ১৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩ পরিচালনা করা হচ্ছে। এই জরিপে ১২ হাজার ৪০টি নির্বাচিত নমুনা এলাকা রয়েছে। এই নমুনা জরিপটিও মূল শুমারির মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। এবারের জনমিতিক জরিপে প্রায় ৩ লাখ ১ হাজারটি খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ জরিপের প্রশ্নপত্রে ১৩টি বিষয়ভিত্তিক মডিউলের (খানার পরিচিতি, গৃহ, খানা, ব্যক্তি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যাংকিং সুবিধা, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, বিদেশ ফেরত সদস্য, আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং খানার পরিসম্পদ সংক্রান্ত) আওতায় ১২১টি প্রশ্নের মাধ্যমে মোট ১৯৪টি সূচকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশের খানার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে।
আরও পড়ুন : ঢাকা বিভাগে সাড়ে ৪ কোটি মানুষের বসবাস : বিবিএস
তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাব ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা নির্ধারিত এলাকায় দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচিত খানাগুলোতে উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। জরিপটি সফলভাবে সম্পাদন ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট খানার খানা প্রধানসহ সব সদস্যের আন্তরিক সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ক কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে উপজেলা সুপারভাইজিং কর্মকর্তা-জেলা সুপারভাইজিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় সুপারভাইজিং কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন।
মো. দিলদার হোসেন জানান, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রমাণক-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ, উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও গবেষণা কাজে বিভিন্ন আর্থসামাজিক তিন জনমিতিক সূচকের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত মিলবে চলমান এই জরিপ থেকে। এ জরিপের অগ্রগতি ৩০.৭৭ শতাংশ। এবারের জরিপটি ডিজিটাল হওয়ায় প্রায় শতভাগ নির্ভুল তথ্য পাওয়ার আশা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছায় সম্প্রতি পরিসংখ্যান ব্যুরো সাংবাদিকদের মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় জরিপ কার্যক্রম সরেজমিনে প্রদর্শন করায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্যাবের মাধ্যমে খুব সহজেই একজন গণনাকারী খানাগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছেন। গণনাকারী স্থানীয় হওয়ায় সাধারণ মানুষও সহজে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে।
লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিয়া এলাকার বাসিন্দা আলামিন হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে জরিপ কার্যক্রমের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একদল গণনাকারী আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসায় আমার পরিবারের সব ধরনের তথ্য নিয়েছে। যেমন– খানার (যারা এক পাতিলর রান্না খায়) আকার, কেউ বিদেশে থাকে কি না, খানার আয়ের উৎস, বিবাহ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন, নিজের নামে কোনো জমি আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নে নিযুক্ত গণনাকারী হাবিবুর রহমান বাসায় বাসায় গিয়ে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানান আলামিন।
বিবিএসের গণনাকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩ এর তথ্য সংগ্রহ করছি। ১২১টি প্রশ্নের মাধ্যমে ১৯৪টি সূচকের তথ্য নিচ্ছি। মানুষ সহজেই আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে। সবার সহযোগিতায় আমরা তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। তবে কিছু কিছু তথ্য দিতে না চাইলেও আমরা বিভিন্ন পন্থায় সেসব প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করছি।
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা শারমিন আক্তার। পেশায় গৃহিণী। স্বামী ঢাকায় দর্জির কাজ করে বলে মায়ের বাড়িতেই সংসার পেতেছেন তিনি। শারমিন বলেন, তার আয় কি, কোথায় বাজার করেন, কীভাবে টাকা খরচ করেন, পরিবারের কেউ প্রবাসে আছেন কি না, স্মার্টফোন আছে কি না, নিজেদের আলাদা ঘর আছে কি না, স্যানিটেশন সুবিধা আছে কি না, বিশুদ্ধ পানির জোগান আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তারা আমার কাছ থেকে ১৯৪টিরও বেশি তথ্য নিয়েছেন। এ তথ্য দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন : নতুন নতুন বিষয়ে পরিসংখ্যান করছে বিবিএস
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মো. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সবার সহযোগিতায় দারুণভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে রেমিট্যান্স ও জমি সংক্রান্ত তথ্য অনেকে দিতে চায় না। তবে আমরা কৌশলে সেসব তথ্য সংগ্রহ করছি। তাছাড়া আমাদের তথ্য নিতে যেন ঝামেলা না হয়, সেজন্য আমরা স্থানীয় লোকজনকে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিয়োগ দিয়েছি। এতে করে সবাই সহজে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে পরিচালিত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। যা নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশ বা নির্ধারিত ভূখণ্ডে বসবাসকারী সব ব্যক্তি বা জনগণের আর্থসামাজিক ও জনমিতিক তথ্য সংগ্রহ, সংকলন এবং প্রকাশের সার্বিক প্রক্রিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে শুমারি একটি বৃহৎ কর্মযজ্ঞ হওয়ায় শুমারির সময় বিস্তারিত আর্থসামাজিক ও জনমিতিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে প্রায় প্রতিটি দেশ শুমারি শেষ করার পরপরই দীর্ঘ প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে বৃহৎ পরিসরে একটি জরিপ পরিচালনা করে। এ জরিপটিই নমুনা শুমারি বা আর্থসামাজিক ও জনমিতিক জরিপ নামে পরিচিত। সাধারণত খানার আর্থসামাজিক তথ্যের পাশাপাশি খানা সদস্যের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, অভিবাসন ইত্যাদি বিষয়ে এ জরিপে সবিস্তারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।
পিডি দিলদার হোসেন আরও জানান, আপনার বসতঘরের সব ধরনের তথ্য যেমন– পাকা নাকি কাঁচা এসব তথ্য জানা যাবে। মেঝে কাঁচা নাকি পাকা নাকি টাইলস করা এ ধরনের ১০টি প্রশ্ন। পরিবারের মানুষ টিউবওয়েলের পানি পান করেন কীভাবে বা বিশুদ্ধ পানির উৎস কি, এ সম্পর্কিত প্রশ্ন আছে জরিপে। প্রবাসী আয় আছে কি না বা পরিবারের কোনো সদস্য কোনোকালে প্রবাসী আয়ে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না এমন তথ্যও নেওয়া হচ্ছে জরিপে। গত সাত দিনে কোনো উপার্জন হয়েছে কি না বা উপার্জন হলেও তা খরচ হয়েছে কীভাবে। কোন বাজারে বাজার করেন। পরিবারটি কি পুরুষ প্রধান নাকি নারী প্রধান পরিবার এসব তথ্যও উঠে আসবে জরিপে। তাছাড়া ব্যাংক লেনদেন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হবে তথ্য প্রদানকারীর কাছ থেকে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, পরিসংখ্যানে আমরা দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছি। যার ফলে জনমিতিক জরিপে প্রায় ১৯৪টি সূচকের তথ্য নেওয়ার পরও খানার সব তথ্য নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ পরিসংখ্যান বিস্তৃত হওয়ার ফলেই জনমিতিক জরিপে এত তথ্য নেওয়ার পরও কিছু কিছু তথ্য থেকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণনাকারীদের সুপারভাইজিং করে মানুষের কাছ থেকে খানার তথ্য আনা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজগুলো করছি। কারণ, আমাদের যথেষ্ট টাকা নেই। তবে অনেক সময় বিভিন্ন সিস্টেমের কারণে অর্থ নষ্ট হয়। বিবিএস সব সময়ই কম টাকায় সরকারকে বেশি সুবিধা বা তথ্য দেওয়ার লক্ষ্যে চেষ্টা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, আমাদের এ বছরে প্রায় সবগুলো জরিপ বা শুমারির প্রতিবেদন জমা হয়েছে। এটা করতে কিন্তু কেউ পরিকল্পনা করেনি বা সরকার বলেনি। সময় ও সিস্টেম অনুযায়ী জরিপ এবং শুমারি করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা শুমারির রিপোর্ট জাতিসংঘের প্রটোকল অনুযায়ী করা হয়। এই জনমিতিক জরিপের প্রত্যেক জেলার আলাদা আলাদা প্রতিবেদন দেবে বিবিএস। এজন্য জনমিতিকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেতে আমাদের আগামী বছরের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পরিসংখ্যানের তথ্যের বিকল্প নেই। আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছি সঠিক তথ্য দিয়ে সরকারের উন্নয়নের অবদান রাখতে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত জনশুমারি, হেইসসহ আরও কিছু জরিপের কাজ বিবিএস করেছে। যার ওপর ভর করে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকি এবং সেভাবেই দেশের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বিবিএসের তথ্য সেভাবে প্রয়োজন না হলেও নির্বাচনের পরে যারাই সরকার গঠন করবে, তাদের জন্য এ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ, বিবিএসের শুমারি এবং জরিপের তথ্যেই আগামী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। কিছু কিছু তথ্য আমাদের দরকার ছিল। সেসব তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো আমাদের ইতোমধ্যে দিয়েছে। যেমন– দেশের জনগণের মোট হিসাব, দারিদ্র্যের হিসাব বিবিএস দিয়েছে। বিবিএসের এই হিসাব অনুযায়ীই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা আরও বিস্তরভাবে গ্রহণ করা যাবে।
এসআর/এসএসএইচ/