ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বের কথা জানালেন শেরম্যান
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যা ঘটবে তার মধ্য দিয়েই অনেকাংশে বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যান।
ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে একটি প্লেনারি সেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শনিবার (১৩ মে) এ মন্তব্য করেন শেরম্যান।
ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সক্রিয়তা সম্প্রসারণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অঞ্চলে যা ঘটবে তার মধ্য দিয়েই অনেকাংশে বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক তাৎপর্যকে বাড়িয়ে বলার কিছু নেই। ভারত মহাসাগর
বিশ্বের পুরো সমুদ্রপৃষ্ঠের এক-পঞ্চমাংশ এবং এটি সারা বিশ্বের মানুষ ও অর্থনীতিকে সংযুক্ত করেছে।
শেরম্যান বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের দিকে আমাদের সবার আগ্রহ রয়েছে।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, জলবায়ু সংকট আমাদের সবাইকে স্পর্শ করে। তবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে এর প্রভাব অসম। জলবায়ু পরিবর্তন কিছু দেশ, বিশেষত দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে অস্তিত্বের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এদিকে জলদস্যুতা, সমুদ্রে সশস্ত্র ডাকাতি ও পাচার, সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তার অবনতি ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া অবৈধ, অজানা ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ শিকার সমুদ্র-নির্ভর অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতির জন্য এটি টেকসই করা প্রয়োজন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আইওরা’র মতো বহুপাক্ষিক সংস্থা, সুশীল সমাজ ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত ও সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বন করা আবশ্যক।
শেরম্যান জানান, আমরা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে দূষণমুক্ত জ্বালানি-নির্ভর ভবিষ্যতে উত্তরণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি। এ কারণেই আমরা আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্যোগের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সঙ্গে কাজের সূত্রে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য ৬০ লাখ ডলার প্রদান করতে চাইছি। এই তহবিল ভারত মহাসাগরের আওতাধীন দক্ষিণ এশীয় উপ-অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা ও আইন প্রয়োগের সক্ষমতাকে জোরদার করবে।
ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি এক্ষেত্রে বিশেষত জলদস্যুতা প্রতিরোধ, ইইজেড পরিবীক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বকে সামনে রাখতে চাই।
তিনি বলেন, সমুদ্র-ভিত্তিক টেকসই অর্থনীতিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এর শক্তি বহুগুণ বাড়বে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কীভাবে একে অপরকে শক্তিশালী করতে পারে তার পথ প্রদর্শন করবে।
প্লেনারি সেশনে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য এএম জে আকবর।
এনআই/জেডএস