শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মামলা করবেন ইস্ট-ওয়েস্টের সেই ছাত্রী
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন আফতাব নগরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট-ওয়েস্টের এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করে ছিনতাইকারীদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। অভিযুক্তদের আটকে বাড্ডা থানার একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে।
অপূর্ণা আক্তার ইতি নামের ওই শিক্ষার্থীকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে রামপুরা এ ব্লকের বাসায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে পরিবারের লোকজন তাকে দেখাশোনা করছেন। ইতির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত মামলা করা হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাতে এসব তথ্য জানান বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহি উদ্দিন। এ ঘটনায় আপাতত কোনো মামলা না হলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন এসআই মাহি উদ্দিন।
এসআই মাহি উদ্দিন বলেন, ইস্ট-ওয়েস্টের শিক্ষার্থী ইতির ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে জখম হওয়ার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলার বিষয়ে ইতির পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের বলেছে ইতির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তারা থানায় এসে মামলা দায়ের করবেন। আমরা ইতির পরিবারের অপেক্ষায় আছি।
আরও পড়ুন <-> ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কুপিয়ে মোবাইল ছিনতাই
ইতির শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আজ সকালে ইতিকে হাসপাতাল থেকে রামপুরায় তার বাসায় আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখাশোনা করছে। ইতির শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে শুনেছি, তবে এ বিষয়ে চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন।
অন্যদিকে ছিনতাইকারীদের আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ছিনতাইকারীদের বিষয়ে তদন্ত করছি। তাদের আটকে আমাদের অভিযান চলছে। আশা করি দ্রুত তাদের আটক করতে পারব।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা এখনো দায়ের হয়নি, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ছিনতাইকারী ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। আমরা শুনেছি ইতির দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের আঘাত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার(২ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০ টার দিকে আফতাব নগরের বি ব্লকে ওই ছাত্রীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর রাতেই তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমএসি/এমজে