আদানির বিদ্যুতের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই
ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
তিনি বলেন, এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং ভারতীয় সংস্থার বিষয়। আমরা এর মধ্যে কোনোভাবেই জড়িত নই।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ফলে যাতে প্রতিবেশীরা উপকৃত হয়, সেটাই আমরা চাই। ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অঙ্গই হলো, প্রাকৃতিক বা শক্তি ক্ষেত্র— যেকোনো ধরনের সংযোগের জন্যই ভারত সচেষ্ট। তবে যদি কোনো একটি বিশেষ প্রকল্প অর্থনৈতিক বা অন্য কোনেসা কারণে না চলে, তা হলে আমার মনে হয় না দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার কোনো প্রভাব পড়বে।
• আরও পড়ুন : টালমাটাল আদানি, ছিটকে গেলেন বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে
২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি গোষ্ঠীর আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিপি)। সেই অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার কয়লানির্ভর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তবে শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে লিখেছে- বিপিডিপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি আদানিদের সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, চুক্তিটি তারা ফের খতিয়ে দেখতে চায়। এর পেছনে কয়লাম দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
• আরও পড়ুন : ভারতের আমজনতার কাছে আদানি কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?
তবে এরসঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার-বিতর্কের ছায়া থাকতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
এনএফ