এ বছরই সবাই উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।
শনিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্যদের জন্য মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। বিজিএমইএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী ও বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএ সামাদ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১২ বছরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকেও ডিজিটাল সেবা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হতে হবে, এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন কিংবা বিগডেটাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির দাপটে আমাদের প্রচলিত কায়িকশ্রমে সংশ্লিষ্টরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়ে বিজিএমইএসহ সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, তাদেরকে কর্মক্ষম রাখতে যথাযথ পরিকল্পনা নেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তৈরি পোশাক রফতানির পাশাপাশি রোবট, আইওটি, ব্লকচেইন, এআই, বিগডাটার মতো প্রযুক্তিও রপ্তানি করব।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উপযোগী হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো লোকবল-সংকট কাটাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছে। এই বিপ্লব সব দেশের জন্য এক নয়। একই নীতি, কৌশল ও পদ্ধতি সব দেশে প্রযোজ্য না। তাই অনুকরণ নয়, মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানাব।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানান, দ্রুততম সময়ে বিজিএমইএ ডিজিটালাইজেশনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
এ সময় করোনাকালে দেশে শতকরা ৭২ ভাগ রোগী ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
একে/এইচকে