রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভোট দিলো বাংলাদেশ
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান, সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, জাতিসংঘ সনদ এবং অন্যান্য মৌলিক নীতি বিবেচনায় নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নিন্দা প্রস্তাবে ভারত ও চীনসহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। রাশিয়াসহ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও নিকারাগুয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটি সর্বোচ্চ ভোট।
চারটি রেজুলেশনের মধ্যে মানবিক সহায়তা বিষয়ক দ্বিতীয় রেজুলেশনে বাংলাদেশ পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু প্রথম রেজুলেশন এবং জেনেভাতে ভোট দানে বিরত ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের ভোটের ব্যাখ্যায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান, সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য এবং নীতিগুলো অবশ্যই সবাইকে মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ এটাও বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।
বিবৃতিতে ইসরায়েল দ্বারা ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্য আরব ভূমি দখলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের সংঘাতের ধারাবাহিকতা এবং এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরিতা কোনো জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। সংলাপ, আলোচনা এবং মধ্যস্থতা হলো সংকট ও বিরোধ সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।
বহুপাক্ষিকতাবাদে দৃঢ় বিশ্বাসী বাংলাদেশ জাতিসংঘকে সমর্থন করে। বাংলাদেশ সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে মানবজাতির মঙ্গলের জন্য যুদ্ধের অবসান এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এনআই/এমএইচএস